কোরআন শরীফ আনতে গিয়ে..
স্টাফ রিপোর্টার: কোরআন শরীফ আনতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি ওয়াজিদ।নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল এলাকায় নির্মাণাধীন চারতলা একটি ভবন খালের ওপর ধসে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যুর হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শোয়েব, অন্যজন ওয়াজিদ। ঘটনার দিন রোববার শোয়েবের লাশ উদ্ধার করা হলেও ওয়াজিদের লাশ মিলল মঙ্গলবার। এ দিকে ওয়াজিদ কোরআন শরীফ আনতে গিয়ে ভবনে চাপা পড়ে বলে জানিয়েছে তার সঙ্গে থাকা আরেক শিশু স্বপ্না।সে জানায়, প্রতিদিনের মতো রোববার বিকালে ওই ভবনে শিক্ষক সোনিয়া বেগমের কাছে তার সঙ্গে ওয়াজিদ ও শোয়েব আরবি পড়ছিল। তখন হঠাৎ শিক্ষক তাদের বলেন, ভবনটি কাঁপছে। এ কথা শোনার পরপরই তারা তিনজন পড়া রেখে উঠে দাঁড়ায়।
এরপর এলাকার একজন নারী চিৎকার করে তাদের বাসা থেকে বের হয়ে আসতে বললে ওয়াজিদ দৌড়ে বের হয়ে আসে। পরক্ষণেই সে ভেতরে আবার ছুটে যায় কোরআন শরীফ নিয়ে আসার জন্য। আর এ সময়ই ভবনটি বিকট শব্দে ধসে পড়ে তারা পানিতে তলিয়ে যায়। পরে অন্যরা কোনোমতে পানি থেকে উপরে উঠতে পারলেও ওয়াজিদ পারেনি।রোববার বিকালে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার বাবুরাইল মুন্সিবাড়ি এলাকায় ৪তলা নির্মাণাধীন চারতলা একটি ভবন খালের ওপর ধসে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু হয়। ওইদিন শোয়েব নামে এক স্কুলছাত্র মারা যায়। এ ছাড়া ওয়াজিদ (১২) নামে এক স্কুলছাত্র নিখোঁজ ছিল। মঙ্গলবার তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন নিহত স্কুলছাত্র শোয়েবের মামা রনি। মামলার আসামিরা হলেন ভবনের মালিক জেবউননেছা, তার তিন ছেলে আজহার উদ্দিন, বাবু, সুমন ও মেয়ে শিউলী আক্তার।ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন জাতিরকন্ঠ কে জানান, দুর্বল নির্মাণশৈলী ও অপরিকল্পিতভাবে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে যার ফলে ভবনটি ধসে পড়েছে এবং এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এমন অভিযোগ এনে ভবনের মালিকপক্ষের ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।