কে খুন করলো নায়িকা জিয়া খানকে ?
মিরা নায়ার : কে খুন করলো নায়িকা জিয়া খানকে ? অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু আত্মহত্যা নয়। বরং তাঁর মুখে ও ঘাড়ে ক্ষতচিহ্ন পরীক্ষা করার পরে এক ব্রিটিশ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের দাবি, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩-র ৩ জুন জিয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল জুহুর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে। জিয়ার মা রাবেয়া খানের বরাবরের অভিযোগ জিয়া আত্মহত্যা করেননি। যদিও মাস দেড়েক আগেই সিবিআই খুনের তত্ত্ব খারিজের কথা জানিয়েছিল বম্বে হাইকোর্টকে। তবে এই ফরেন্সিক রিপোর্ট জিয়ার মৃত্যু রহস্য আরও এক প্রস্ত বাড়িয়ে তুলল।
গত ডিসেম্বরে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছিল জিয়ার প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে। তবে সিবিআইয়ের তদন্তে খুশি ছিলেন না জিয়ার মা। তাই তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ব্রিটিশ সংস্থা ফরেন্সিক হেল্থকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের দ্বারস্থ হন। ওই সংস্থার বিশেষজ্ঞ পাইন জেমস জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট, তাঁর ঘরের ছবি, দেহের ছবি ও সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
পাইনের দেওয়া রিপোর্টের সঙ্গে রাজ্য ফরেন্সিক রিপোর্টের বিস্তর ফারাক। যেমন, জিয়ার নীচের ঠোঁটের ক্ষত। রাজ্য ফরেন্সিকের রিপোর্ট অনুযায়ী এর ব্যাখ্যা, আত্মহত্যার মুহূর্তে দাঁতে দাঁত লেগে যাওয়ার কারণে ওই ক্ষত হয়েছে। পাইনের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মুখে জোরে ঘুষি মারা হলে যে ক্ষত হয়, ওটা তেমন ক্ষত। আবার জিয়ার গলায় ফাঁসের দাগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পাইন। তাঁর মতে, সাধারণ ওড়না গলায় জড়ালে ওই দাগ হয় না। যেমন জিয়ার গলায় ছিল। রাজ্য ফরেন্সিকের দেওয়া জিয়ার নীচের চোয়ালের ক্ষতের ব্যাখ্যাতেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পাইন।
জিয়ার মৃত্যু তদন্তে উঠে আসা এই নতুন তথ্য আগামিকাল মুম্বইয়ের দায়রা আদালতে জানাবেন জিয়ার মা। রাবেয়ার আইনজীবী দিনেশ তিওয়ারি সেই কথা জানিয়েছেন। যদিও এই রিপোর্ট সামনে আসার পরে সুরজ পাঞ্চোলির বাবা আদিত্য পাঞ্চোলি বলেন, ‘‘এই রিপোর্ট টাকা দিয়ে করানো হয়েছে।’’ যেহেতু ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই তদন্ত, তাই আদালত সেই তথ্য গ্রাহ্য করবে কি না সেটাই এখন দেখার ।