• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

কুলাউড়ায় ভয়াবহ রেল দূর্ঘটনার নেপথ্যে কি!


প্রকাশিত: ৩:৩৩ পিএম, ২৪ জুন ১৯ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৮ বার

 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : কুলাউড়ায় ভয়াবহ রেল দূর্ঘটনার নিহত ৪ জনের পরিচয় মিললেও ঘটনার নেপথ্যে প্রকৃত কি ঘটেছিল তা উদঘাটিত হয়নি। এনিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আজ সকাল থেকে অকুস্থল পরিদর্শন করে কাজ শুরু করেছেন। ব্রিজ ভেঙ্গে ট্রেনের বগি কিভাবে পড়ে গেল তা নিয়েই চলছে রহস্য।

এর আগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ রেল দূর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিস বলেছে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ব্রিজ ভেঙে সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের ১টি বগি খালে পড়ে এবং আরও ৫টি বগি লাইনচ্যুত হলে ঘটনাস্থলেই ৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। দুর্ঘটনার পর থেকেই উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনগণ। রোববার রাত ১২টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনের পাশে ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৪ জুন) সকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন উপবন এক্সপ্রেসের বগি উল্টে নিহত চারজনেরই পরিচয় মিলেছে। পরিবাররে লোকজন এসব মরদেহ শনাক্ত করেছেন।
নিহত যাত্রীরা হলেন কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নের গুপ্ত গ্রামের বাসিন্দা আবদুল বারীর স্ত্রী মনোয়ারা পারভীন (৪৫), সিলেটের মোগলা বাহার থানার আবদুল্লাহপুর গ্রামের আবদুল বারীর মেয়ে ফাহমিদা ইয়াসমিন ওরফে ইভা (২০), বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার আকরাম মোল্লার মেয়ে সানজিদা আক্তার (২০) ও হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার নুর হোসেনের ছেলে কাওসার হোসেন (২৬)। মনোয়ারা পারভীনের লাশ শনাক্ত করেন তাঁর স্বামী আবদুল বারী।

ফাহমিদার লাশ তাঁর ভাই আবদুল হামিদ শনাক্ত করেন। তিনি সিলেট নার্সিং কলেজের বিএসএসি নার্সিং কোর্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। সানজিদা ও ফাহমিদা সহপাঠী ছিলেন ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন কলেজের কোষাধ্যক্ষ জহির আহমেদ।কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুরুল হক কাওসার হোসেনের পরিচয় নিশ্চিত করে জানান, তাঁর পরিবারের লোকজন লাশ নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। দুর্ঘটনার পর কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬৭ জন, মৌলভীবাজারের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে সাতজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৩ জন।