• বুধবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৪

কি অপরাধ ছিল পপি-ইয়াসিনের


প্রকাশিত: ৯:৫৬ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২৩ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৬ বার

ট্রেনে ওঠার পরও স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে কথা হয়েছিল মিজানের। কিন্তু শেষ রাতে সব শেষ হয়ে গেছে, কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন হতভাগ্য পিতা।

 

লাবণ্য চৌধুরী : কি অপরাধ ছিল ছোট্ট শিশু ইয়াসিনের, কেন তাকে মায়ের কোলে মরতে হলো-এ প্রশ্ন হতভাগ্য পিতা মিজানের। ট্রেনে ওঠার পরও স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে কথা হয়েছিল মিজানের। কিন্তু শেষ রাতে সব শেষ হয়ে গেছে, কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন হতভাগ্য পিতা। ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মারা গেছেন নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার শিশু সন্তান ইয়াসিন (৩)। মায়ের কোলে ছিল ৩ বছর বয়সী ইয়াসিন। বগিতে আগুন লাগলে সন্তানকে বুকে আগলে রেখেছিলেন মা নাদিরা আক্তার। মরদেহ উদ্ধারের সময়ও মায়ের কোলেই পাওয়া গেছে ইয়াসিনকে।
কী অপরাধে এমন নির্মম মৃত্যু হলো স্ত্রীর, কী অপরাধ ছিল শিশু সন্তান ইয়াসিনের জানতে চান পিতা মিজানুর রহমান। আগুনে পোড়া স্ত্রী-সন্তানের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) জরুরি বিভাগের মর্গে। বাইরে অপেক্ষায় থাকা মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কী অপরাধে আমার সব শেষ হয়ে গেলো জানি না। আমি কারও কাছে বিচার চাইবো না।

স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে মিজানুর রহমান থাকেন পশ্চিম তেজতুরী বাজার এলাকায়। বড় ছেলে রিয়াদ হাসান ফাহিম চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। ফাহিমের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৩ ডিসেম্বর দুই সন্তান নিয়ে নাদিরা আক্তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় যান। ঢাকায় ফেরার জন্য মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন তারা। নাদিরার সঙ্গে আরও ছিলেন তার ছোট ভাই হাবিবুর রহমান। ট্রেনে আগুন লাগলে ফাহিমকে নিয়ে নেমে যেতে পারেন হাবিবুর। তবে নাদিরা ও ইয়াছিন আটকা পড়ে আগুনে মারা যান।

তেজগাঁও এলাকায় হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী-সন্তানকে যেন আর কাটাছেঁড়া করা না হয়। শুধু অক্ষত লাশ ফেরত চাই।রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল মিজানুর রহমানের। তিনি বলেন, রাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠার পর নাদিরার সঙ্গে ফোনে কথা হয়। ভোরে যখন আগুন লাগে পাঁচটার দিকে নাদিরার ভাই হাবিবুর ফোন করে জানায় এই খবর। বাসা থেকে দ্রুত তেজগাঁও রেলস্টেশন গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী-সন্তান পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে।