কিরনমালারা গিলে খাচ্ছে বাঙ্গালী নারীদের পোষাক
নীপা খন্দকার.ঢাকা: কিরনমালারা গিলে খাচ্ছে বাঙ্গালী নারীদের পোষাক ।ভারতীয় সিরিয়ালের নামে নানা পোশাকের আধিপত্য এবারো দেশের ঈদ বাজারে। কিরণমালা, গোপী, রাশি, কটকটি, এমন নানান নামে মেয়েদের পোশাকগুলো দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মার্কেটগুলোতে। দেশীয় পোশাককে দূরে ঠেলে যা কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন নতুন প্রজন্মের মেয়েরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎসব-পার্বণে পোশাক কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া উচিত দেশীয় সংস্কৃতিতেই। কিরণমালা। সম্প্রতি ভারতীয় একটি চ্যানেলের ধারাবাহিক নাটকের নাম। রাক্ষস আর নানা কাল্পনিক গল্পে ভরা এই সিরিয়াল যেনো অমৃতের মতো গেলেন অনেকেই, বিশেষ করে মেয়েরা।
তবে টেলিভিশনের পর্দা থেকে এই কিরণমালা এবার ঢুকে পড়েছে দেশের ঈদ বাজারে। তাই, কিরণমালাসহ এসব পোশাকে ছেয়ে গেছে প্রায় সব মার্কেট। প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানি করা এসব পোশাক হাজার হাজার টাকা দিয়ে কিনতেও তাই এতটুকু দ্বিধা নেই ক্রেতাদের মাঝে।জানতে চাইলে ক্রেতারা জানান, ইন্ডিয়ান চ্যানেলে সিরিয়াল দেখার পর এসব ড্রেস ভালো লেগেছে তাই কিনতে এসেছি।
তবে ঈদের মতো বড় উৎসব গুলোতেই কেবল তারা বিদেশী পোশাক কিনছেন বলে দাবী ক্রেতাদের। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ বাজারে মেয়েদের যতো পোশাক বিক্রি হয় তার ৮০ ভাগই ভারতীয়।এ সম্পর্কে বিক্রেতারা বলেন, ঈদের বাজারে ভারতীয় পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকে। প্রায় ৮০ শতাংশ ভারতীয় পোশাক বিক্রি হয়ে থাকে।
এদিকে ভারতীয় বিভিন্ন সিরিয়ালের নামকরণে এসব পোশাক থেকে দেশের তরুণ সমাজকে বাঁচাতে হলে সবার আগে নিজ ঘরেই সচেতনতা তৈরি করতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি আকাশ সংস্কৃতির অবাধ অনুপ্রবেশই এই উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলেও মত তাদের।
এসব নিয়ে সমাজবিজ্ঞানী ড. অধ্যাপক নেহাল করিম বলেন, ‘আকাশ সংস্কৃতির দ্বারা বাংলাদেশের মানুষ অনেকটাই প্রভাবিত হচ্ছে।’ এ ব্যাপারে শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার জানান, ‘আমরা নিজেদের ঐতিহ্য আর ফ্যাশনের চর্চা খুব কম করি।এর ফলে ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন বাড়ছে।’