`কাশিমপুর কারাগারে ভালো আছেন সাঈদী-আল্লাহ-বিল্লাহ করে সময় কাটান’
বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: কারাগারে সাঈদী ভালো আছেন। রমজান মাসে এই বয়সে একজন মানুষ কি আর করবে। আল্লাহ-বিল্লাহ করে সময় কাটান। কারাগারের দেওয়া খাবারই খান। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধী ও আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে আমৃত্যু কারাদ-প্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন।
রমজানে অধিকাংশ সময় নামাজ-কালাম পড়ে সময় কাটছে তার। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় বই পড়ছেন। পত্রিকা পড়ে ও টেলিভিশনের খবর দেখে দেশের পরিস্থিতির খোঁজ খবর রাখেন। প্রতি সপ্তাহে পরিবারের সদস্যরা এসে তার সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করেন। কারাগারের দেওয়া খাবারই খাচ্ছেন তিনি। তবে রোজার মাসে কারাগারের দেওয়া ইফতারের ব্যাপারে তার কোন অভিযোগ নেই।
কারাগার সূত্র জানায়, কারাগারে সেহেরিতে তাকে গরম খাবার দেওয়া হয়। তাকে মাছ, গোশত, সবজি, ডাল, মোটা চালের ভাত সরবরাহ করা হয়। গত বছরের রমজান মাসে ইফতারে সাঈদীর জন্য বরাদ্দ ছিল ২৮ টাকা। মোট সাতটি আইটেম-ছোলা, খেজুর, পেয়াজু, মুড়ি, জিলাপী, খেজুর, লেবুর শরবত ও কলা দিয়ে ইফতার সারেন। তবে এবার তার ইফতারের বাজেট ১৯ টাকা ৬০ পয়সা।
সূত্রটি আরো জানায়, দেলোওয়ার হোসেন সাঈদী সেহেরির সময় ওঠে তাহাজুত্তের নামাজ আদায় করেন, পরে সেহেরি খেয়ে ফজরের নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে কোরআন তেলাওয়াত করেন। তাকে আড্ডা দিতে দেখা যায়না। বাকি সময় কাটে ধর্মীয় বিভিন্ন ধরণের বইপত্র পড়ে।
সাঈদীর বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে কাশিমপুর পার্ট-১ এর জেলার মো. ফরিদুর রহমান রুবেল বলেন, কারাগারে সাঈদী ভালো আছেন। রমজান মাসে এই বয়সে একজন মানুষ কি আর করবে। আল্লাহ-বিল্লাহ করে সময় কাটান। কারাগারের দেওয়া খাবারই খান। এছাড়াও প্রিজন ক্যান্টিন থেকে পছন্দমত খাবার কিনেও খান।তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা ভালো। কোনো ব্যাপারে তার অভিযোগ নেই।’
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদ-ের রায় কমিয়ে আমৃত্যু কারাদ- দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।