কার জিঘাংসায় খুন হলো মা-মেয়ে
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মিরপুরের পাইকপাড়ায় মা জেসমিন আক্তার ও তার দুই মেয়ে হাসিবা তাহসিন হিমি (৮) ও আদিবা তাহসিন হানির (৪) মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হয়েছে। আজ লাশগুলোর ময়নাতদন্ত শেষে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সেলিম রেজা এ কথা জানান।
এদিকে, মিরপুর বাঙলা কলেজ সংলগ্ন কলোনির ১৩৪ নম্বর ভবন ঘিরে সকাল থেকেই ছিল মানুষের ভীড়। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
সকালে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে জেসমিন ও তার দুই মেয়ের লাশের ময়নাতদন্ত শুরু হয়। তদন্তের সময় এই তিন জনের ভিসেরা নমুনাও সংরক্ষণ করা হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের সেলিম রেজা বলেন, আঘাতের আগে তাদের কোনো ধরনের বিষ বা এ জাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কিনা, এ জন্য তাদের ভিসেরা নমুনাও সংরক্ষণ করা হয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, আঘাতের কারণে জেসমিন আক্তার ও তার দুই মেয়ে হিমি ও হানির শরীরে জখম ছিল। এই জখমের কারণে রক্তক্ষরণে তারা মারা যান।
নিহত জেসমিন আক্তার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ক্যাশিয়ার ছিলেন। তার স্বামী হাসিবুল ইসলাম সংসদ সচিবালয়ের সহকারী লেজিসলেটিভ ড্রাফটসম্যান। মিরপুর বাঙলা কলেজসংলগ্ন কলোনির ১৩৪ নম্বর ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে এই দম্পতি আত্মীয়স্বজন নিয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে বসবাস করছিলেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জেসমিনের শোয়ার ঘর থেকে দুই মেয়েসহ তার লাশ উদ্ধার হয়।
এ ব্যাপারে পুলিশের দারুস সালাম জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম আজ সকালে জানান, সবকিছু মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে।