• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

কার্ড জালিয়াতি করে মাসিক আয় অর্ধকোটি টাকা


প্রকাশিত: ১:২৭ এএম, ১৬ মার্চ ১৭ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার

ssss

স্টাফ রিপোর্টার :  রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এটিএম, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা একটি প্রতারক চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব সদস্যরা। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান এমন তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জালিয়াতি চক্রের সদস্যদের একজন বিদেশ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন লেনদেন না হওয়া গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট ও কার্ডের তথ্য চুরি করে ক্লোন কার্ড তৈরি করতো। এরপর বিভিন্ন দোকানের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে কার্ড ঘষে তারা টাকা সংগ্রহ করতো।

আটকরা হলেন- মো. জালাল হোসেন সুমন (২৭), মো. শাহ আজিজ সোহেল (৩৬), মো. রানা (২৪), মো. জহিরুল ইসলাম (৩৭), মো. লুৎফর রহমান সুজন (৪২), মো. পারভেজ (২৩), মো. ওয়াহেদ (২০), মো. আবদুল আলী (৪০), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫), মো. কামরুজ্জামান সুমন (৩০) এবং ডিএনসিসি কর্মকর্তা মো. নূরে আলম (৪৫)।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জালিয়াতি চক্রের আইটি এক্সপার্ট মো. শাহ আজিজ সোহেল দীর্ঘদিন দুবাইতে কর্মরত ছিলেন। দুবাই থাকাকালে তার সঙ্গে এরিক লিমো নামের এক আমেরিকানের পরিচয় হয়। সোহেল তার কাছ থেকে আন্তর্জাতিক কার্ড জালিয়াতির বিষয়ে দীক্ষা নেয়। পরে দেশে ফিরে ডিএনসিসি’র ওই কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে কার্ড জালিয়াতি চক্র গঠন করেন।

কার্ড জালিয়াতি করে তারা প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতেন। সোয়াপ মেশিনধারী (কার্ড পাঞ্চ করার মেশিন) অসাধু দোকান মালিক বা ব্যবসায়ীর সঙ্গে ২০-২৫ শতাংশ কমিশন গ্রহণের মাধ্যমে কার্ড গ্রহণ/ব্যবহারের সুযোগ পেত চক্রটি।

অভিযানে কার্ড জালিয়াতি চক্রের কাছ থেকে কার্ড তৈরির বিশেষ ধরনের প্রিন্টার, বিভিন্ন ব্যাংকের দুইশ ডেবিড কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের এক হাজার এটিএম কার্ড, ছয়টি সোয়াপ মেশিন (কার্ড পাঞ্চ করার মেশিন) জব্দ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।