স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা: আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র এবং কাউন্সিল পদপ্রার্থীদের অধিকাংশই ব্যবসায়ী। এঁদের ভোট দিলে শিয়ালকে মুরগি পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হবে। মনোনয়ন বৈধ হওয়া প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এ কথা জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে সুজন এ তথ্য তুলে ধরে।
তথ্য বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রার্থীদের জেনেশুনে ও বাজিয়ে ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, এ জন্যই এটা করা হয়েছে।
সুজনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ী ৬৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এই সংখ্যা ৭১ দশমিক ৮২ শতাংশ।
এই প্রবণতা সম্পর্কে সুজন সম্পাদক বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে ঠিকাদার। এঁদের ভোট দিলে শিয়ালকে মুরগি পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হবে।
সুজন জানায়, ঢাকা উত্তরে ১৯ দশমিক ৬২ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে। হত্যা মামলা আছে ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশের বিরুদ্ধে। ঢাকা দক্ষিণে ২০ দশমিক ৫৪ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা রয়েছে। হত্যা মামলা আছে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশের বিরুদ্ধে।
প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা থাকা প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, মামলা থাকা মানেই দোষী নয়। বিরোধী-সমর্থক প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা বেশি।
সুজনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ঢাকা উত্তরে অধিকাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিকের নিচে। সেখানে স্নাতকোত্তর ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ, স্নাতক ১৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, উচ্চমাধ্যমিক ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ, মাধ্যমিক ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের নিচে শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে ৪৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ প্রার্থীর।
ঢাকা দক্ষিণের অবস্থাও একই। সেখানে স্নাতকোত্তর ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, স্নাতক ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ, উচ্চমাধ্যমিক ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাধ্যমিক ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের নিচে শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে ৫২ দশমিক ৮৯ শতাংশ প্রার্থীর।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন তার অবাধ ক্ষমতা প্রয়োগ করছে না। মামলার কারণে অনেকে প্রচার চালাতে পারছেন না। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে পরাজিতরা আন্দোলনে নামতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।