• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

কলাবতীতে শাড়িতে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১:০০ এএম, ১৮ জুলাই ২৩ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৯ বার


বিশেষ প্রতিনিধি : কলাবতীতে শাড়িতে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী। কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি প্রথম কলাবতী শাড়ি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরিজী। সঙ্গে দিয়েছেন হস্তশিল্পজাত পণ্যও। সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে কলাগাছের এসব উপহার সামগ্রী গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় জেলা প্রশাসক তিবরীজি কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি তিনটি শাড়ি এবং দুটি জুয়েলারি বক্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন।দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কলাগাছের তন্তু থেকে মনিপুরী ডিজাইনের এই শাড়ি প্রস্তুত করেন মৌলভীবাজারের তাঁতশিল্পী রাধাবতী দেবী। প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া শাড়িটি তৈরি করেছেন অঞ্জলী দেবী ও দত্ত সিংহ।

কলাগাছের আঁশ বা তন্তুকে প্রক্রিয়াজাত করে সুতা থেকে তৈরি করা হয়েছে কলাবতী শাড়ি। সাড়ে ১৩ হাত লম্বা ও আড়াই হাত চওড়া একটি শাড়ি হাতে তৈরি করতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ দিনের মতো। আর এতে এক কেজি তন্তুর সুতার প্রয়োজন হয়।এর আগে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরিজী জানিয়েছেন, তবে আরও নরম ও মসৃণ করা গেলে ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম সুতা দিয়েই তৈরি করা সম্ভব এই শাড়ি। আর সেক্ষেত্রে শ্রম ও সময়ও লাগবে কম। এই শাড়ির বাজারমূল্য ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা হতে পারে।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে তিবরিজী জানিয়েছেন, কলাগাছের সুতা দিয়ে শুধু শাড়ি নয়, পর্দা, ব্যাগ, পাপোস, জুতা, হাতব্যাগ, কলমদানি তৈরি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে ছেলেদের পাঞ্জাবি, ফতুয়াসহ ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্র শৈল্পিক রূপ দিয়ে কীভাবে তৈরি করা যায় সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে সুতা পাঠানো হবে।’

এছাড়া হাতের বালা, গলার হার, কানের দুলসহ বিভিন্ন আধুনিক অলংকার কীভাবে তৈরি করা যায় সেই চেষ্টাও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। গতবারের ডিসি সম্মেলনে স্থানীয় পণ্যগুলোকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই চিন্তা থেকেই কলাবতী শাড়ি তৈরি করা হয় বলে জানান বান্দরবানের জেলা প্রশাসক।

পাহাড়ি নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে কলাগাছের আঁশ বা তন্তু থেকে প্রক্রিয়াজাত সুতা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।শাড়ি ও হস্তশিল্পজাত পণ্য উপহার দেয়া ছাড়াও এদিন প্রধানমন্ত্রীকে পার্বত্য এলাকায় বাসোপযোগী আশ্রয়ণের একটি বিশেষ মাচাং ঘরের মডেল, জেলা ব্র্যান্ডের ক্যালেন্ডার এবং ব্র্যান্ড বুক উপহার দেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক।