• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

কপাল-গলদা চিংড়ি চাষীর ক্যান্সার জয়


প্রকাশিত: ৬:৫৩ পিএম, ১১ জানুয়ারী ২০ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৪৬ বার

নড়াইল থেকে রাশেদ খান : একেই বলে কপাল-যার জোরে গলদা চিংড়ি চাষী ক্যান্সারও জয় করেছেন। মিঠাপানিতে গলদা চিংড়ি চাষ করে সফল নড়াইলের মৎস্য খামারি অঞ্জন সমাদ্দার ১৬ বছর বয়েসে বাবাকে হারিয়ে সংসারের হাল ধরতে শুরু করেছিলেন মাছের চাষ। একটি পুকুরে মাছের চাষ শুরু করলেও এখন তার রয়েছে ৬টি ঘের। সফল মৎস্য খামারি হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় পদক।অঞ্জন নড়াইল সদরের মালিয়াট গ্রামের বাসিন্দা। কাজলা নদীতে ট্রলার চালিয়ে কোনো রকম চলতো সংসার। কিন্তু কিছুতেই পিছু ছাড়ছিলো না দারিদ্রতা। উপায়ন্ত না পেয়ে অল্প পুঁজিতে শুরু করেন চিংড়ি চাষ। বছর না ঘুরতেই স্বচ্ছলতা ফেরে সংসারে। কিন্তু দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ে না তার।২০১০ সালে ধরা পড়ে ব্লাড ক্যান্সার। তিন বছর ধরে চলে মরণব্যাধীর সঙ্গে যুদ্ধ। অবশেষে সেই যুদ্ধেও জয়ী হন অঞ্জন। ফিরে এসে গলদা চিংড়ির পাশাপাশি শুরু করেন অন্য মাছের চাষও। বর্তমান অঞ্জনের মাছের ঘেরের সংখ্যা ৬টি।

অঞ্জন সমাদ্দার বলেন, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে অগ্রসর হয়ে মাছ চাষে এখন লাভ সম্ভব। সনাতন পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে টিকে থাকা সম্ভব নয়।মৃত্যুঞ্জয়ী অঞ্জন শুধু নিজের ভাগ্যই পাল্টাননি, গ্রামের অন্য যুবকদেরকেও সুযোগ করে দিয়েছেন কাজের।এলাকাবাসী জানান, অধিকাংশ লোকজন অঞ্জনকে অনুসরণ করে মাছ চাষ শুরু করেছে। আমাদের এলাকায় যত চাষী আছে গলদা চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ চাষ করে অঞ্জন তাদের মধ্যে অন্যতম। এতে করে এলাকার অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।নড়াইল সদর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. এনামুল হক জানান, তার দেখাদেখি অলাকার অনেকেই মাছ চাষে এগিয়ে এসেছে। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আমরা তাকে সহযোগিতা দিয়ে আসছি।২০১৮ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ মৎস খামারির খেতাব পান অঞ্জন। আর ২০১৯ সালে গলদা চিংড়ি উৎপাদনে পেয়েছেন জাতীয় পদক।