কপাল খুললো হ্যারির-
দ্যা গার্ডিয়ান অবলম্বনে লাবণ্য চৌধুরী : পারিবারিক বঞ্চনা মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকার কৌশল মিডিযায় প্রকাশ করে কপাল খুললো হ্যারির। এবার তিনি মানসিক বঞ্চনা নিরসন প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন ১০০ কোটি ডলারের বেতনে। ব্রিটিশ যুবরাজ হ্যারি ‘বেটার আপ’ নামে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির একটি প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসাবে যোগদান করতে চাচ্ছেন। সেখানে কাজ করার জন্য তিনি বেতন হিসাবে বছরে ১০০ কোটি ডলার। প্রতিষ্ঠানটি মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে কাজ করে।
ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন জীবন শুরু করা যুবরাজ হ্যারির জন্য এটিই হতে যাচ্ছে প্রথম কোন বেসরকারী চাকরী। এর আগে হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান স্পটিফাই এবং নেটফ্লিক্সের সাথে কয়েক মিলিয়ন ডলারের চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেছিলেন। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে কাজ করবেন হ্যারি। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়ে একটি ব্লগ পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বেটার আপের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমাদের মানসিক সুস্থতা গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি নিজের জীবনের ব্যথা থেকে শক্তি নিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, আমাদের মনের যত্ন নিতে হবে। হ্যারি আরও বলেন, তিনি নিজে একটি বেটার আপ কোচের সঙ্গে কাজ করছেন, এমন একটি অভিজ্ঞতা যা তিনি অমূল্য বলে জানান। বিবৃতিতে হ্যারি জানান, তার নতুন কাজটি হলো মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা লোকদের জন্য একটি সহানুভূতিশীল সম্প্রদায় তৈরি করা; যেখানে তাদের সঙ্গে সৎ ও সহনীয় পরিবেশে কথোপকথনের সুযোগ থাকবে।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মোবাইলভিত্তিক কোচিং ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা ‘বেটার আপ’। ৬৬টি দেশে চলছে তাদের কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্সি রবিশাক্স ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, নতুন দায়িত্বে হ্যারিকে কর্মী ব্যবস্থাপনার কাজ করতে হবে না কিংবা তিনি সরাসরি তাকে জবাবদিহি করবে এমন কোনো কর্মীও পাবেন না। সানফ্রান্সিসকোর সদরদপ্তর তার কাজের জন্য উপযুক্ত বলে মনে হলে, তিনি মাঝে মাঝে সেখানে সময় কাটাবেন। কোম্পানিটির প্রথম ‘চিফ ইমপ্যাক্ট অফিসার’ হিসেবে প্রিন্স হ্যারি পণ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন কৌশলগত সিদ্ধান্ত ও দাতব্য সহযোগিতাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে মতামত দেবেন এবং জনসমক্ষে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে প্রচার চালাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।