ওষুধের গাড়িতে রাষ্ট্রীয় নথি পাচার-৩৩০ হাজার কোটি টাকার চেক মিলেছে
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের ড্রাইভার আটক-
শফিক রহমান: এবার ওষুধের গাড়িতে রাষ্ট্রিয় নথি পাচার হচ্ছিল। এ ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পড়েছে সাবেক এটর্নি জেনারেলের গাড়ির ড্রাইভার। আরো বিস্ময়কর হচ্ছে ওই ওষুধের গাড়িতে রাষ্ট্রিয় নথি পাচারকালে সেখান থেকে ফাইলের ভিতর উদ্ধার হয়েছে ৩৩০ হাজার কোটি টাকার চেক।এছাড়াও গাড়ির ভিতরে মিলেছে শত শত সরকারি ফাইল, গুরুত্বপূর্ণ নথি, মামলার নথিপত্রসহ শত শত রেকর্ড ফাইল। শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা গেছে, ওষুধের গাড়ি পার হচ্ছিলো রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়। রাজধানীর অন্য জায়গাগুলোর মতো সেখানেও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনে ছিলেন শিক্ষার্থীরা। সন্দেহ হলে ওই ওষুধের গাড়ি আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা।চালক গাড়ির ভেতরে ওষুধ আছে দাবি করেন। তবে, দরজা খুলতেই দেখা যায় সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের ছবিসহ ওষুধের গাড়িতে করে নেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথি।যদিও ওই চালকের দাবি, বাসা বদলানোর জন্য এসব নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে, ওষুধের গাড়িতে মালামাল কেন- এমন প্রশ্নে সন্তোষজনক উত্তর পাননি শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ট্রাফিকিংয়ের কাজ করছিলেন। সন্দেহ হলে তারা গাড়ি খুলতে বলেন। তখন গাড়ির চালক জানান, ভেতরে ওষুধ আছে, কাপড় আছে। এ সময় সন্দেহ হলে শিক্ষার্থীরা তাকে দরজা খুলে দেখাতে বলেন। কিন্তু তিনি দরজা না খুলে তাড়াহুড়ো শুরু করেন। এরপর জোর করা হলে এবং অন্য সব শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে গাড়ি ঘেরাও করলে তিনি দরজা খোলেন।
এরপর বেরিয়ে আসে ভেতরের চিত্র। সেখানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ নানা কাগজপত্র পাওয়া যায়।অপর এক শিক্ষার্থী জানান, গাড়ির চালকের লাইসেন্সও ছিলো না। এরপর সন্দেহ হয় তাদের। তারপর গণমাধ্যম সেখানে গেলে তারা লাইভে থেকে গাড়ির ভেতরে কী ছিল তা খুলে দেখান। সেখানে বেরিয়ে আসে নানা সরকারি নথি।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, তারা যখন নথিপত্র দেখে বুঝতে পারেন, এসব সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের। তখন তারা সেনবাহিনীকে খবর দেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিলো ওই ওষুধের গাড়িতে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর বুধবার ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর অব্যাহতিপত্র দেন এ এম আমিন উদ্দিন।