ওবামা’র শেষ কাল শুরু ট্রাম্পের
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্টার : আর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে। তার কিছু সময় আগেই সমালোচনার মুখে পড়লেন তিনি।
বিবিসি বলছে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার দুই দফা মেয়াদের শেষ দিন বৃহস্পতিবার। এর আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি তার শেষ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক, ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়াসহ নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য উপদেশ বাণীও দিয়েছেন। আবার বেশ কিছু সমালোচনারও জবাব দিতে হয়েছে তাকে। বিশেষ করে গোপন সরকারি নথিপত্র ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত সেনা চেলসি ম্যনিং এর বাদবাকি সাজা মওকুফ করে দেয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার শেষ সংবাদ সম্মেলনে নানা প্রশ্নই ছুড়ে দেয়া হয়েছে বিদায়ী এই প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের বহু দিনের পুরনো শত্রু রাশিয়া সম্পর্কে তিনি বলেছেন, দেশটির সাথে সম্পর্ক খানিকটা সেই ঠাণ্ডা যুদ্ধের মতো রূপ নিয়েছে।
ওবামা বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন আবারো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময়কার সেই প্রতিপক্ষ মনোভাবের একটা পুরনো আঁচ যেন পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে দুই পক্ষের সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইসরাইল ফিলিস্তিন দুই রাষ্ট্র তত্ত্বের ভিত্তিতে শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এই দুটি পক্ষই শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল্যবান সুযোগ হারাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে সমালোচনারও জবাব দিতে হয়েছে বারাক ওবামাকে।
গোপন সরকারি নথিপত্র ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত সেনা চেলসি ম্যনিং এর বাদবাকি সাজা মওকুফ করে দেয়ার পর তার কড়া সমালোচনা করছে রিপাবলিকানরা। যারা বলছেন, এর মাধ্যমে ভুল বার্তা দিলেনওবামা।
বারাক ওবামা বলেন, চেলসি ম্যনিংকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, সে তার অপরাধের দায়িত্বও নিয়েছে।৩৫ বছরের সাজা তার অপরাধের তুলনায় অনেক বেশি মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাজা মওকুফ করে দেয়ার ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিহাস রচনা করেছেন বারাক ওবামা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন। এর পর ২০১২ সালে দ্বিতীয় দফায়ও বিজয়ী হন। শুরু থেকেই নানা বিরোধিতা ও সমালোচনার মধ্যে দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ মুহূর্তে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কিছু উপদেশ বাণীও দিয়ে গেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি যদি শুধু তাদের কথাই শোনেন যারা আপনার সব কথায় সায় দেয়, আপনি যদি এমন একটি পদ্ধতি তৈরি করেন যেখানে প্রশ্ন করার কোন সুযোগ নেই, তাহলে বুঝতে হবে আপনি ভুল করতে শুরু করেছেন।