এস আলমের মানি লন্ডারিং-১০০ কোটি ডলার পাচার অনুসন্ধান কর-হাইকোর্ট
কোর্ট রিপোর্টার : এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া সিঙ্গাপুরে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যসহ বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিকানার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এই আদেশ দেন।
একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত পরিচালনা করে দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে এস আলম গ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযুক্ত কর্মকাণ্ড ঠেকাতে তাদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চে পত্রিকার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। পরে যে নথির ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে তা দুই মাসের মধ্যে আদালতে জমা দিতে সংশ্লিষ্ট পত্রিকাকে আদেশ দেওয়া হয়।
‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি ইংরেজি দৈনিকে গত ৪ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন, যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা তহবিল স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো অনুমতি নেওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক এ পর্যন্ত ১৭ কোম্পানিকে দেশের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে এবং সেই তালিকায় এস আলমের নাম নেই।s