• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

এমপি আনারের খুনী মাফিয়া আখতারুজ্জামান শাহিন


প্রকাশিত: ১২:৪৬ এএম, ২৩ মে ২৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৮১ বার

 

 

ঢাকা ঝিনাইদহ কোর্টচাঁদপুর হুন্ডি সিন্ডিকেট জড়িত-

এই আখতারাজ্জামান ওরফে শাহিন এর ভাড়া বাসায় উঠেছিল এমপি আনার। আর এখানেই তাকে খুন করা হয়েছে। পরে তার লাশ ফ্ল্যাট থেকে নিয়ে টুকরা টুকরা করে গুম করা হয় বলে গ্রেফতারকৃত ভাড়াটে গাড়িচালক পশ্চিমবঙ্গ সিআইডিকে জানিয়েছে। এমপির লাশের টুকরা কোথায় ফেলা হয়েছে সেটি এখনো বলেনি গাড়িচালক।

 

শফিক রহমান : অবশেষে এমপি আনার খুনে প্রধান সন্দেহভাজন আখতারাজ্জামান ওরফে শাহিনকে চিহ্নিত করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি।ঢাকা ঝিনাইদহ কোর্টচাঁদপুর হুন্ডি সিন্ডিকেট এই খুনের মদদদাতা বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। গোয়েন্দারা ইতিমধ্যে এই মাফিয়া হুন্ডি সিন্ডিকেট কে চিহ্নিত করে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে।

এই আখতারাজ্জামান ওরফে শাহিন এর ভাড়া বাসায় উঠেছিল এমপি আনার। আর এখানেই তাকে খুন করা হয়েছে। পরে তার লাশ ফ্ল্যাট থেকে নিয়ে টুকরা টুকরা করে গুম করা হয় বলে গ্রেফতারকৃত ভাড়াটে গাড়িচালক পশ্চিমবঙ্গ সিআইডিকে জানিয়েছে। এমপির লাশের টুকরা কোথায় ফেলা হয়েছে সেটি এখনো বলেনি গাড়িচালক।

বুধবার সকালে কলকাতার উপকণ্ঠে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মানব শ্রিংলা সাংবাদিকদের জানান, আনোয়ারুল আজিম শেষ যে ভাড়া গাড়িটি কলকাতায় ব্যবহার করেছিলেন, সেই ক্যাবটির চালক জেরার মুখে স্বীকার করেছে ওই যাত্রীকে খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তবে লাশ কোথায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের কলকাতায় খুন হওয়া আনোয়ারুল আজিম হত্যায় প্রধান সন্দেহভাজন ঝিনাইদহের কোটচাদপুর পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান সেলিমের ছোট ভাই আমেরিকা প্রবাসি আক্তারুজ্জামান শাহিন।
বুধবার কলকাতার নিউ টাউনে যে ফ্ল্যাটে এমপি আনোয়ারুলকে হত্যা করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে সেটির ভাড়াটিয়াও তিনি।

কলকাতা পুলিশের সিআইডি সূত্র জানায়, আখতারুজ্জামান শাহিনের বিরুদ্ধে চোরাকারবারি, হুন্ডি ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এমপি আজিমের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক লেনদেন ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।তবে আখতারুজ্জামান শাহিন পালিয়ে গেছেন, না পুলিশের হাতে আটক তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি সূত্র দাবি করেছে, শাহিন কলকাতা থেকে দেশে ফিরে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন। কলকাতার সিআইডি বলছে, এই প্রবাসি বেশির ভাগ সময় নিজ এলাকা, ঢাকা ও কলকাতায় বাসা ভাড়া করে থাকে। তার সাথে আন্ডারওয়ার্ল্ডের নেতা, ব্যবসায়ী,প্রশাসনের বড় কর্মকর্তাদের সখ্য রয়েছে।

কোটচাদপুর শহরে পুরানো খেয়াঘাট এলাকাতে শাহিনের একটি বাড়ি রয়েছে। তাদের গ্রামের বাড়ি উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আইজি (সিআইডি) অখিলেশ চতুর্বেদী জানান, যেই ফ্ল্যাটটিতে সংসদ সদস্য এসে উঠেছিলেন সেটি সন্দীপ রায় নামে এক ব্যক্তির। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরে কাজ করেন। তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (প্রবাসী বাংলাদেশি) বাসিন্দা আখতারুজ্জামান নামের এক ব্যক্তিকে।

এর আগে চিকিৎসার জন্য গত আট দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর কলকাতায় এমপি আনার খুন হন বলে বুধবার খবর আসে। তবে তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে কি না তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে সন্দেহে একটি গাড়ি আটক করেছে কলকাতা নিউ টাউন পুলিশ।