‘এমন জঘন্য নির্বাচন না করে গণভবনে চেয়ারম্যান তালিকা করে পাঠালে জনসম্পদ প্রাণ রক্ষা পেত’
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলনের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম সদ্য সমাপ্ত দুই ধাপের ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘এমন জঘন্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য জনগণের শত শত কোটি টাকা অপচয়ের কোনো মানে হয় না। এর চেয়ে বরং গণভবন থেকে চেয়ারম্যানদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিলেই কিছু মানুষের প্রাণ ও জনসম্পদ রক্ষা পেত।’
শনিবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, দুই দফা ইউপি নির্বাচনের নামে যা ঘটছে, তা নির্বাচনের নামে জঘন্য তামাশা। বিবেকবান মানুষ এক বাক্যে স্বীকার করবে, এই নির্বাচন একদলীয় সরকারের এক নজিরবিহীন নির্বাচন।
দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, এ নির্বাচনে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভোট ডাকাতি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আমরা নির্লজ্জ-বেহায়া প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পুরো কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি। বাকি ইউপি নির্বাচনগুলো সৎ-যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে হতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদসহ পুরো কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেন।
অনুষ্ঠিত দুই দফা নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও সরকারি দলের তা-ব হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘মূলত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের পর থেকে দেশে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে এর কোনো একটিও সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়নি।
ক্ষমতাসীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন মিলে মিশে সারাদেশে নির্বাচনী উৎসবের পরিবর্তে নির্বাচনী তাণ্ডব চালাচ্ছে। দেশের কোথাও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ অবশিষ্ট নেই।’
রেজাউল করীম আরো বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে যে পাপ করেছে এর পরিণতি একদিন তাদের ভোগ করতে হবে। বর্তমান নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশনকেও কেউ ক্ষমা করবে না। এখনও আমাদের প্রত্যাশা আগামী চার পর্বের ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। জনগণ নিরাপদে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাক। জনগণকে তাদের ভোট দিতে দিন, নয়তো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তীব্র আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে ইনশা আল্লাহ।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, চরমোনাইপীরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, সেক্রেটারি আহমদ আব্দুল কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।