এবার সৌদিআরবের ঘুম হারাম!
বিশেষ প্রতিনিধি : নাইন ইলেভেন টার্গেটে এবার সৌদিআরব। ২০০১ সালে নাইন ইলেভেনের হামলায় বিমান অপহরণকারীদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল সৌদি আরব থেকে। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ভয়াবহতম ৯/১১ হামলার ঘটনায় বিচারের মুখোমুখি হতে হবে সৌদি আরবকে। নিউইয়র্কের এক বিচারক এমনই নির্দেশ দিয়েছেন।তার নির্দেশ অনুযায়ী শতকোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে করা একটি মামলা চলমান থাকবে।
সৌদি আরব সবসময়ই বলে আসছিলো যে বিমান ছিনতাই ঘটনায় রিয়াদ কোন ধরনের সহায়তা করেছিলো এমন কোন প্রমাণ নেই।কিন্তু বিচারক জর্জ ড্যানিয়েলস বলেছে ২০১৬ সালের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইন অনুযায়ী সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটির যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি আছে বলেই মনে করেন তিনি।
তিনি অবশ্য সৌদি আরবের একটি ব্যাংক ও নির্মাণ কোম্পানির আল-কায়েদাকে সহায়তা করেছিলো এমন অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
সৌদি আরব ওই হামলায় কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নাকচ করে দিয়েছে।৯/১১ এর ওই বিমান হামলায় ধ্বসে পড়েছিলো ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার আর নিহত হয়েছিলো প্রায় তিন হাজার মানুষ।ওয়াশিংটনে পেন্টাগন ও পেনসিলভানিয়াতেও বিমান হামলা হয়েছিলো।আর হামলাকারী ১৯ জনের মধ্যে ১৫ জনই ছিলো সৌদি নাগরিক।
২০০১ সালে নাইন ইলেভেনের ওই হামলায় বিমান অপহরণকারীদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল সৌদি আরব থেকে এবং বারবার এমন সন্দেহ করা হয়েছে যে তাদের সাথে সৌদি সরকারের একটি সংশ্লিষ্টতা ছিল।ছিনতাই করা চারটি যাত্রীবাহী বিমান দিয়ে নিউইয়র্কের ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টার আর ওয়াশিংটনের পেন্টাগনে চালানো আত্মঘাতী আক্রমণে সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল।
দুটি বিমান আঘাত হেনেছিল টুইন টাওয়ারে, একটি পেন্টাগনে আর চতুর্থ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল পেনসিলভানিয়ার শ্যাংকসভিলে।এর পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ তার ভাষায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সূচনা করেন।গত দশ বছরে আফগানিস্তান ও ইরাকে দুটি যুদ্ধ চালিয়েছে আমেরিকা, যার রেশ এখনো চলছে।
ওই আক্রমণের জন্য আল-কায়েদার সদস্যদের দায়ী করা হয়, এবং আল কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেন পরে পাকিস্তানের এবোটাবাদে মার্কিন সেনাদের এক গোপন অভিযানে নিহত হন।নিউইয়র্কে বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের দুটি টাওয়ার যেখানে ছিল সেই শূন্যস্থানে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল দুটি জলাশয়, চারপাশে উৎকীর্ণ হয়েছে নিহতদের নাম।