• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

এবার যানজট কমাবে ইনটারনেট


প্রকাশিত: ৩:২৪ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৩ বার

janjot-www.jatirkhantha.com.bdডেস্ক রিপোর্ট:    ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গর্ব করলেও এর সামান্যই ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে। যেমন যানজট কমাতে পারে ইন্টারনেট। কিন্তু তা কিভাবে? বিবিসি বাংলাকে এ প্রসঙ্গে বুয়েটের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেছেন, আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে যাতে বিস্তৃতি লাভ করে এর জন্য এই ধরনের উদ্যোগ নেয়া জরুরি।

যেমন  ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে যে সুযোগ সুবিধাগুলো দেশে হওয়া উচিত তা কিন্তু হচ্ছে না। ইন্টারনেট ব্যবহারে যানজট কমতে পারে। এব্যাপারে তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে ঢাকা শহরের যানজট কমেনি। অথচ মোবাইল ব্যাংকিং এবং অন্যান্য দৈনন্দিন কাজ যে সব ক্ষেত্রে মানুষের অধিক পরিমাণে যাতায়াতের প্রয়োজন হয় সে ধরনের কাজ ইন্টারনেট’এর মাধ্যমে করা গেলে মানুষের যাতায়াত অতটা প্রয়োজন পড়বে না। এর প্রত্যক্ষ ফর পড়বে যানজট হ্রাসের পক্ষেই। কারণ ইন্টারনেটে যে কাজ ঘরে বসে করা যায় মানুষ সে কাজের জন্যে পয়সা ও অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে ঘরের বাইরে রাস্তায় বের হবে না। ইন্টারনেটের এমন বিবিধ ব্যবহার সম্ভব হলে যাতায়াত অনেকটাই কমে যেত কিন্তু সেটা হয়নি।

তিনি বলেন, অনেকেই বলে থাকেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যারা বেশির ভাগ সময় তরুণ তারা যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু ইন্টারনেট শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, নিজের কাজকে সহজ করে তোলার জন্যেও।

সারা দেশে মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেবার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ এরই মধ্যে নেয়া হয়েছে কিন্তু সঠিকভাবে কি ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে, বিবিসি বাংলার এ প্রশ্নের জবাবে ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, আমার মনে হয় সেটা হচ্ছে না। আমরা ভৌত অবকাঠামো তৈরি করে চলেছি একদম গ্রাম-গ্রামান্তর পর্যন্ত। কিন্তু এই ভৌত অবকাঠামো ব্যবহার করে ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করার জন্য মানুষের মধ্যে যে ধরনের উৎসাহ, আগ্রহ কিংবা প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা সেখানে মনে হয় ঘাটতি আছে।

ইন্টারনেট ব্যবহারের মানটা কোন পর্যায়ে আছে সে প্রসঙ্গে ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, আমাদের দেশ সীমিত সম্পদের দেশ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যথেষ্ট বরাদ্দ পায়না। আমাদের লাইব্রেরীর সুবিধা, গবেষণার সুবিধার ঘাটতি আছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যদি আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতাম তাহলে আমাদের ছেলে মেয়েরা ইন্টারনেটে যে বড় সংগ্রহশালা রয়েছে তার থেকে উপকৃত হতে পারত। এজন্য আমি মনে করি বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারনেট সেবা আরও বেশি করে দেয়া উচিত, তাহলে সেটা কার্যকর হত।

ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্যে বাংলাদেশের মানুষের যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয় সেটা কতটা সংগতিপূর্ণ এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কায়কোবাদ বলেন, বেশিরভাগ মানুষ ইন্টারনেট সেবা নিয়ে থাকে মোবাইল, টেলিফোন’ এর মাধ্যমে। আমাদের মত সীমিত সম্পদের দেশে মানুষের যে আয় তা দিয়ে সাধারণ মানুষ ইন্টারনেট খুব সহজে ব্যবহার করতে পারেনা। তবে এটা মনে রাখতে হবে আমাদের মত দেশে ইন্টারনেটকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। ইন্টারনেট  আমাদের কল্যাণে দেশের কল্যাণে ব্যবহার করি সেটা সরকারের মাথায় থাকতে হবে।

উল্লেখ্য বাংলাদেশে  আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ইন্টারনেট সপ্তাহ ২০১৫। ৫ থেকে ১১ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনটি বিভাগীয় শহর ঢাকা,সিলেট ও রাজশাহীতে বড় প্রদর্শনী হবে।