এবার মুশফিকের বিশ্ব রেকর্ড
আর এইচ মানব : ঢাকা টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করার মধ্য দিয়ে এবার মুশফিক বিশ্ব রেকর্ড’ও গড়লেন।তার আগে সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে গেলেন মুশফিকুর রহিম। এতোদিন টেস্টের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১৭ রান নিয়ে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবার ওপরে ছিলেন সাকিব। সোমবার ২১৯ রান করার মধ্য দিয়ে সাকিবে ছাড়িয়ে গেলেন মুশফিক।বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এতদিন একটি করে ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে একই ক্যাটাগরিতে ছিলেন সাকিব, তামিম ও মুশফিক। তবে ঢাকা টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করার মধ্য দিয়ে সাকিব-তামিমকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন মুশফিক। শীলংকার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, এদিন ডাবল সেঞ্চুরি করার মধ্য দিয়ে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বে প্রথম স্থানে চলে এসেছেন মুশফিক। কিপার হিসেবে টেস্টে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে (২০০ ও ২১৯) দুটি।বিশ্ব ক্রিকেটে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শ্রীলংকার সাবেক তারকা ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিরা একটি করে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন।
এর আগে রোববার সেঞ্চুরি করার মধ্য দিয়ে সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে যান মুশফিকুর রহিম। টেস্টের সাদা পোশাকে মুশফিকের সেঞ্চুরি ৬টি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের ৫টি।তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে মুশফিকের চেয়ে এগিয়ে সাকিব। একদিনের ক্রিকেটে সাকিবের সেঞ্চুরি আছে ৭টি। সেখানে মুশফিকের সেঞ্চুরি ৬টি। তবে টেস্টে এবং ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেঞ্চুরি করার দিক থেকে সবার ওপরে তামিম ইকবাল। টেস্টে তার সেঞ্চুরি ৮টি আর ওয়ানডেতে ১১টি।
শুধু সেঞ্চুরির দিক থেকেই নয়, রান সংগ্রহের দিক থেকেও বাংলাদেশে সবার ওপরে তামিম। টেস্টে তামিমের সংগ্রহ ৮ সেঞ্চুরি এবং ২৫ফিফটির সাহায্যে ৪ হাজার ৪৯ রান। তার ঠিক পরেই অবস্থান মুশফিকুর রহিমের। ৬ সেঞ্চুরি এবং ১৯টি ফিফটিতে তার সংগ্রহ ৩ হাজার ৯৬২ রান। অন্যদিকে ৫ সেঞ্চুরি এবং ২৩টি ফিফটির সাহায্যে ৩ হাজার ৬৯২ রান নিয়ে তিনে আছেন সাকিব।আর ওয়ানডেতে ১১ সেঞ্চুরি এবং ৪২ ফিফটিতে ৬ হাজার ৩০৭ রান নিয়ে সবার ওপরে তামিম। ৭ সেঞ্চুরি ৩৯ ফিফটিতে ৫ হাজার ৪৮২ রান নিয়ে দুইয়ে সাকিব। ৬ সেঞ্চুরি এবং ৩০ ফিফটিতে ৫ হাজার ২১৩ রান নিয়ে তিনে মুশফিক।