• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

এবার ভারতকে হারাতে ব্যাটে-বলে শান টাইগারদের


প্রকাশিত: ৪:২৯ এএম, ৩ মার্চ ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫২ বার

 

সাইফুল বারী মাসুম : এবার ভারতকে হারানোর পালা টাইগারদের।ভারত দেখবে পাকিস্তানের মত দশা তথা-১০ ওভারে পাকিস্তান ৩৪/৪।এশিয়া কাপে এবার নিয়মিত যোগ হয়েছে মুঠোফোনে জোনাকি পোকার মত আলো জ্বালিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠা।এই উল্লাস প্রতিপক্ষ ক্রিকেট শক্তিতে দেখানোর জন্যে।এবার ৩০ হাজার জোনাকির আলো জলেছে স্টেডিয়ামে।পাকিস্তানের ইনিংসের দশ ওভারেই অবস্থা জানান দিতেই এ দৃশ্য। এই আলো জ্বলে-নেভে না। জ্বলজ্বল করে।

masrafi-www.jatirkhantha.com.bdতখন পাকিস্তান ৩৪/৪! শুধু উইকেট সংখ্যার দিকে তাকিয়ে রানটা যেন আপনার চোখ এড়িয়ে না যায়। ১০ ওভার পরেও পাকিস্তানের রান রেট কিনা সাড়ে তিনেরও নিচে!
শোয়েব মালিক-সরফরাজের ৭০ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১২৯ রানেই থামল পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাটিং করে ১৩০-এর নিচে আটকে গিয়ে টি-টোয়েন্টিতে একবারই জিতেছে তারা। এই পরিসংখ্যান সাক্ষী মানলে এশিয়া কাপের ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় পা-টিও সেখানে তুলে দেওয়ার দায়িত্ব এখন ব্যাটসম্যানদের।

বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে কোনো আক্ষেপ থাকার কথা নয়। তবে শুরুটার মতো শেষটা অমন দুর্দান্ত হলো না। প্রথম ১৩ ওভারে পাকিস্তান তুলতে পেরেছিল মাত্র ৫৪, শেষ সাত ওভারে তারাই তুলল ৭৫। সরফরাজ ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে ম্যাচের মাঝ পথেই ছিটকে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচালেন। শোয়েব মালিকের ৪১ ছাড়া পাকিস্তানের বলার মতো রান করতে পারেননি আর কেউ।

এবারের এশিয়া কাপে লো স্কোরিং ম্যাচেও অনেক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। সেদিক দিয়ে দেখলে ১৩০-এর লক্ষ্যটা কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু আজ মিরপুরে খেলা হচ্ছে একেবারে ন্যাড়া উইকেটে। এই উইকেট রানপ্রসবা জন্যই টসে জিতে ব্যাটিং নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি আফ্রিদি, এমনকি ডিউ ফ্যাক্টরও তাঁকে ভাবাতে পারেনি।

এবারের এশিয়া কাপে প্রায় সবার কণ্ঠেই উইকেট নিয়ে আপত্তি। ওয়াকার ইউনুস থেকে শুরু করে মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা লাসিথ মালিঙ্গা। টুর্নামেন্টটির এসিসির হলেও উইকেটের দায়িত্বে বাংলাদেশের প্রধান কিউরেটর গামিনি সিলভা। এই প্রথম এশিয়া কাপে আজ এমন পাটা উইকেটে খেলা হচ্ছে। আর সেখানেই ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তানের এমন হাঁসফাঁস!

মুস্তাফিজুর রহমানের অনুপস্থিতি পুষিয়ে দিতে বাংলাদেশের বোলাররা সবাই কাঁধ মিলিয়ে লড়লেন। ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আল আমিন আবারও দলের সেরা বোলার। কিন্তু তাসকিনের কথা আলাদা করে বলতে হবে। প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়েছিলেন। ১৯তম ওভারে ১২ রান দিয়ে না ফেললে কত দুর্দান্তই দেখাত তাঁর বোলিং ফিগার!

এই ডেথ ওভারেই আসলে মুস্তাফিজের অভাবটা একটু হলেও টের পেয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও মুস্তাফিজ শেষের দিকে করা ২ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়েছিলেন বলেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
শেষটা থেকে নয়, বাংলাদেশ প্রেরণা নেবে শুরু থেকে। চাপে কোণঠাসা হয়ে যাওয়া পাকিস্তান পাওয়ার প্লেতে তুলতে পারল মাত্র ২০, সেটিও ৩ উইকেট হারিয়ে। টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করলেও আজই প্রথম ৬ ওভারে প্রতিপক্ষ দলের রান ২০-এর মধ্যেই আটকে ফেলতে পারল।

বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সাক্ষী হয়ে থাকল এই তথ্য—পুরো ২০ ওভারে একটিও অতিরিক্ত রান নেই। নো-ওয়াইড তো দূরের কথা, এমনকি কোনো বাই রানও নিতে পারেনি পাকিস্তান।টানা পাঁচটি ডট দিয়ে শুরু করা তাসকিস যে চাপ তৈরি করেছিলেন, সেটারই ফসল পরের ওভারের প্রথম বলেই পেলেন আল আমিন। টুর্নামেন্টের মূল আসরের সেরা বোলার পরে আফ্রিদি আর আনোয়ার আলীকেও ফিরিয়েছেন। মুস্তাফিজের বদলে সুযোগ পাওয়া আরাফাত সানি প্রথম ওভারে ফিরিয়েছেন সার্জিলকে।এমন শান দেয়া বোলিং দেখবে ভারত দর্শকদের সেই অপেক্ষা।