• বৃহস্পতিবার , ২৮ নভেম্বর ২০২৪

এবার ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড


প্রকাশিত: ৮:১৩ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৬৬ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : অবশেষে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য সরকার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।বৃহস্পতিবার তিনি জাতিরকন্ঠ কে বলেছেন, বর্তমান আইনের সাজায় পরিবর্তন এনে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হবে। ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই’ এই প্রস্তাব করা হচ্ছে। আগামী ১২ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাব তোলা হবে।

বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে দোষী ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। এর পাশাপাশি দুই ক্ষেত্রেই অর্থদণ্ডের বিধান আছে।এ আইনের মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সাত দিন থেকে এক মাস এবং মামলা নিষ্পত্তির জন্য একশত আশি দিন (ছয় মাস) সময় বেঁধে দেওয়া থাকলেও বাসতে ওই সময়ের মধ্যে রায় দেওয়া সম্ভব হয় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবিতে সমর্থন জানিয়েছেন।গত ৭ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এদের ছোটখাটো লঘু দণ্ড দিয়ে লাভ নেই। সর্বোচ্চ বিচারের যে দাবি উঠেছে, আমার মনে হয় এটা অযৌক্তিক নয়। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনকে আপসহীন মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

রাজপথে মানববন্ধ‌নে ওমর সা‌নি ও মৌসুমী-

ধর্ষকের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করার ল‌ক্ষ্যে এবার রাজপথে মানববন্ধ‌নে অংশ নি‌য়েছেন জন‌প্রিয় চল‌চ্চিত্রতারকা দম্প‌তি ওমর সা‌নি ও মৌসুমী।বৃহস্প‌তিবার দুপু‌রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের টিএস‌সি সংলগ্ন রাজু ভাস্ক‌র্যের পাদ‌দে‌শে প্লেকার্ড হা‌তে মানববন্ধ‌নে উ‌পিস্থত ছি‌লেন তারা। টিম প‌জিটিভ বাংলা‌দেশ না‌মে এক‌টি সংগঠন এ মানববন্ধনের আ‌য়োজন ক‌রে। সংগঠনটির মুখপাত্র গোলাম রাব্বানীসহ প্রায় দুই শতাধিক টিপিবির সদস্য উপস্থিত ছিলেন।কর্মসূচিতে আ‌য়োজ‌নে অংশ নি‌য়ে ওমর সানি বলেন, ‘প্রতিবাদ করতে নির্দিষ্ট কোনো জায়গার দরকার হয় না। পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে প্রতিবাদ করা যায়। সেটা যদি হয় ন্যায় সঙ্গত তাহলে কোনো কথাই নেই। আমি আর মৌসুমী নির্দিষ্ট কোনো চলচ্চিত্রের জায়গায় নেই। দেশ থেকে দেশান্তরে। প্রতিবাদের কোনো দল নেই। ভালো থাক দেশের মানুষ ভাল থাক দেশটি। আই লাভ বাংলাদেশ।’