• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

এবার কুমিল্লায় জঙ্গিদের নয়া মডেলের গ্রেনেড


প্রকাশিত: ২:২১ এএম, ৮ মার্চ ১৭ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৬ বার

jongi granade-www.jaturkhantha.com.bd
কুমিল্লা প্রতিনিধি  :  কুমিল্লার চান্দিনায় জঙ্গিরা পুলিশের দিকে যে বস্তুগুলো ছুড়ে দিয়েছিল সেগুলো শক্তিশালী হাতে তৈরি গ্রেনেড ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের কর্মকর্তারা। তবে তৈরির সময় নকশাগত সমস্যায় সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি। কর্মকর্তারা দাবি করছেন, জঙ্গিরা নতুন প্রযুক্তির গ্রেনেড তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এগুলো সেই প্রযুক্তির ‘অন টেস্ট ভার্সন’।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার কুটুম্বপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাস থেকে নেমে পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে দুই কথিত ‘জঙ্গি’ জসিম উদ্দিন (২৪) ও মো. হাসান (২২)। এ সময় পুলিশের গুলিতে জসিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ও হাসানকে মারধর করে আটক করে জনতা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।

মহাসড়ক পুলিশের দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের চান্দিনার কুটুম্বপুর এলাকা দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল।

এ সময় মহাসড়ক পুলিশের সদস্যরা গতি নির্ণয় ও তল্লাশি চালানোর জন্য মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে বাসটি থামায়। একপর্যায়ে পুলিশের সদস্য সার্জেন্ট গোলাম মোস্তফা তল্লাশির জন্য বাসে উঠতে গেলে জসিম উদ্দিন ও মো. হাসান দুটি স্কুল ব্যাগ নিয়ে বাস থেকে নেমে দৌড় দেন।

পুলিশও তাঁদের পিছু নেয়। একপর্যায়ে জঙ্গিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রথমে একটি এবং পরে আরও পাঁচটি বোমা নিক্ষেপ করে। কিন্তু বোমাগুলো বিস্ফোরিত হয়নি। এ কারণে কেউ আহত হননি। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী সংগঠিত হয়ে জঙ্গিদের ধাওয়া করে।

এ সময় জঙ্গিরা মহাসড়কের উত্তর পাশে ধানিজমির মধ্য দিয়ে দেবীদ্বার উপজেলার খাদ ঘর মসজিদের সামনে যায়। তখন পুলিশ ২৪টি শটগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় জসিম উদ্দিনের শরীরে গুলি লাগে। আর হাসানকে এলাকার লোকজন ধরে ফেলে। একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।পরে বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের সদস্যরা গিয়ে চারটি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করেন।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের প্রধান ছানোয়ার হোসেন দাবি করেন, কুমিল্লা থেকে উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করা বোমাগুলো মূলত হাতে তৈরি গ্রেনেড। এগুলো অতীতে যে কোনো সময় উদ্ধার করা বোমা বা হাতে তৈরি গ্রেনেডের চেয়ে দু থেকে তিনগুণ শক্তিশালী।

এগুলোতে খুব শক্তিশালী বিস্ফোরক ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও এগুলোর তৈরিতে কিছু সমস্যার কারণে তা বিস্ফোরিত হয়নি। এগুলো বিস্ফোরিত হলে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারতো। ধারণা করা হচ্ছে জঙ্গিরা নতুন ধরনের আরও শক্তিশালী বোমা তৈরির চেষ্টা করছে। এগুলো সে প্রচেষ্টারই ‘অন টেস্ট ভার্সন’।