• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

এবারই প্রথম ৯০% পোশাক শ্রমিক বেতন-বোনাস পেয়েছেন


প্রকাশিত: ৩:১২ এএম, ২৪ জুন ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭১ বার

সাবির রহমান  :  এবারই প্রথম ঈদের আগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৯০ ভাগ পোশাক কারখানার শ্রমিকরা garmenta-www.jatirkhantha.com.bdবেতন-বোনাস পেয়েছেন। গাজীপুর এবং টঙ্গীতে কয়েকটি কারখানায় পাওনা নিয়ে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত বিজিএমইএ এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) হস্তক্ষেপে সমস্যা সমাধান হয়েছে।

শুক্রবারও কোনো কোনো কারখানায় শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে। শনিবার অফিস শেষে সব কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হবে। বেতন-বোনাস পরিশোধের সুবিধার কথা বিবেচনায় পোশাক খাত অধ্যুষিত এলাকার ব্যাংক ছুটির দিনেও খোলা রয়েছে। ঈদে যাতে বেতন-বোনাস নিয়ে সমস্যা নাহয় এ জন্য আগাম প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে।

বেতন-বোনাস নিয়ে সমস্যা হতে পারে: এ রকম ৭০০ কারখানা এবার বিজিএমইএর মনিটরিংয়ের আওতায় ছিল। সংগঠনের পরিচালক, কারখানার মালিক ও শিল্প পুলিশের সমন্বয়ে পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় ৯টি আঞ্চলিক কমিটি এবং ১৫টি মনিটরিং কমিটি কাজ করেছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিএমইএ অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বেশিরভাগ কারখানায়ই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেতন-বোনাস হয়েছে। শনিবারের মধ্যে সব কারখানার শ্রমিকরা তাদের পাওনা পেয়ে যাবেন। তিনি জানান, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের স্বার্থে শুক্রবারও ব্যাংক খোলা রয়েছে।

তবে শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন, নামমাত্র পরিমাণে বোনাস দেওয়া হয়েছে শ্রমিকদের। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনের অধীনে কারখানার মুনাফা বিবেচনায় বোনাস দিয়েছেন মালিকরা। যে কারখানায় মুনাফা বেশি হয়েছে সে কারখানায় বেশি হারে বোনাস দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কম মুনাফা করা কারখানা কম বোনাস দেবে।

গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভপতি বাবুল আক্তার বলেন, ৯০ শতাংশ কারখানায় বেতন-বোনাস হয়েছে এ তথ্য মিথ্যা নয়। তবে প্রশ্ন রয়েছে বোনাসের পরিমাণ নিয়ে। শ্রম আইনের দুর্বলতায় নামমাত্র বোনাস পেয়েছেন বেশিরভাগ শ্রমিক।

আইনে বলা হয়েছে, বোনাস বেসিকের বেশি হতে পারবে না। তার মানে যত কমই হোক তাতে আইনত দায়ী থাকবেন না মালিকরা। ফলে যে যা দিয়ে শ্রমিকদের বোঝাতে পেরেছেন তা দিয়েই শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেছেন। যেহেতু আইনে বেশি দাবি করার সুযোগ নেই সে কারণে শ্রমিকরাও মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি বলেন, শ্রম আইনের এ ধারাটি অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।

ডিআইএফই পৃথকভাবে সারাদেশের শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিস্থিতি মনিটর করছে। ডিইএফইর প্রধান কার্যালয়ের মনিটরিং সেলের তথ্য অনুযায়ী, কম-বেশি ৯০ শতাংশ কারখানায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেতন-বোনাস পেয়েছেন শ্রমিকরা।