- ব্যাটারি রিকসার অবরোধ-নৈরাজ্য
- বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়বই-সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধান উপদেষ্টা
- পরকীয়া সাকসেস করলো হাসিনা
- বসুন্ধরা আই হসপিটালে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন
- চুপ্পু’র বঙ্গভবন ঘেরাও-২৪ ঘন্টায় পদত্যাগ দাবী
- ব্যবসায়ীদের ধরলেই সমস্যার সমাধান হবে না:সাক্ষাৎকারে আবদুল আউয়াল মিন্টু
- রাষ্ট্রপতির পেনাল্টি
- হাসিনার পদত্যাগপত্র উধাও! রাষ্ট্রপতি বলেছেন-পদত্যাগপত্র পাননি
- শিবির ক্যাডারের জিঘাংসায় বালু ব্যবসায়ী খুন
- মিথ্যাচার টার্গেটে রাষ্ট্রপতি’-আর পদে দেখতে চাই না’
- রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন এমডি
- টার্গেটে আওয়ামী সুবিধাভোগী-৫ শিল্পগোষ্ঠিকে সিআইসির নজরদারি
- নগদে ঘাপলা চিহ্নিত-প্রশাসক নিয়োগ
- গুমের অনুসন্ধানে কমিটি
- গ্যাংফোরে ডুবেছে হাসিনা:ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন
- সেনাপ্রধানের সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠক
- বসুন্ধরা চেয়ারম্যান এমডির বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা
- সম্পদের পাহাড় লাকীর
- কানাডায় ইপসিতার রাজপ্রাসাদ-ছাগলকান্ডের সেই মতিউরে মেয়ে
- বিএফইউজে-ডিইউজে’র বিবৃতি-পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনে উত্তেজিত হওয়ার কারণ নাই-
- সেতু ভেঙে ৯জন নিহত-শোকে স্তব্ধ আমতলী
- রাসেল ভাইপার আতংক-সাপের কামড় এড়াতে করণীয়
- নতুন সমঝোতা ঢাকা-দিল্লি-সম্পর্ক জোরদারে৭টি স্মারক সই
- পরিমনি’র গানের সর্বাঙ্গে সেক্স আর…
- বিছানায় সাকিব পরিমনির হট কিস
- সেক্সবোম্ব আাঁচল’কে নিয়ে তোলপাড়
- কম সেক্সি নারীদের যৌন আকাংখা…
- ছেলেদের টেক্কা দিল রেহেনা-পূজা জোরপূর্বক…
- হালের সেনসেশন সেক্সি নায়িকা পরীমনিকে…
- মেয়েদের ফুটবলে যথেচ্ছ যৌন নিগ্রহ-সমকামী…
- চোখের ভাষা প্রেম ভালবাসা বোঝার…
- সাকিবকে মুশফিককে ফাঁদে ফেলতে সেক্সি…
- সুন্দরী বিমানবালার সেক্সি ছবি তোলার…
- বঙ্গ ললনার রোমাঞ্চ শাড়িতে শরীর…
- নায়িকার শরীর নিয়ে নোংরা টানাটানি-সেক্স…
- বিশ্বের সবচেয়ে দামী পাথর চান-
- বাসর রাতে সাদা চাদরে বধুর…
- সাকিবের বউয়ের সেক্সি কালচার ফেসবুকে…
- পরী মনির বিএমডব্লিউ গাড়ি-টাকার গাছ…
- মুশফিকের ‘বউ-ভাগ্য’ সেঞ্চুরি
- কলিকালের পাগলা বাবা ফকির বাবা…
- মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন যেন পরকীয়া…
- সাকিব অপু বিশ্বাস নাটকে ফেসবুকে…
[print-me] বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা:সন্দেহাতীতভাবেই কিংবদন্তি—কলিন কাউড্রে। ১৯৬০ সালে ওভাল টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পুলারকে সঙ্গে নিয়ে কাউড্রে ২৯০ রানের জুটি গড়েছিলেন। ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে সেটাই ছিল সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। একটুর জন্য তিন শ ছুঁতে পারেনি সেই জুটি।
স্বর্গ থেকে হয়তো পুলারের পাশে বসে কাউড্রে দেখলেন, ৫৫ বছর আগে তাঁরা যা পারেননি, সেটাই করে দেখালেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান। এই প্রথম টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে এল ৩০০ রান। দলের দ্বিতীয় ইনিংসেও উদ্বোধনী জুটিতে ৩০০ রান এল এই প্রথম।
তামিম-ইমরুল মিলে যা খেলেছেন, তাতে আক্ষেপের সুযোগ নেই। তবে আজ ম্যাচ শেষে রেকর্ড বইটই ঘাঁটলে দুজনের একটু হলেও কষ্ট লাগবে এই ভেবে—আর মাত্র ১৭টি রানই তো দরকার ছিল। ইশ্, মাত্র ১৭ রান। কী হতো? টেস্ট ক্রিকেটের ১৩৮ বছরের ইতিহাস। খুলনা টেস্টটা যেমন ২ হাজার ১৫৯তম টেস্ট। উদ্বোধনী জুটি হয়েছে ৭ হাজার ৮৯৯ বার। পরিসংখ্যানের এত এত গিজগিজে ভিড়ে তামিম-ইমরুল সর্বকালের সেরা দশ ওপেনিং জুটির তালিকায় নাম লেখাতে পারতেন। মাত্র ১৭ রানের জন্য হলো না।
অবশ্য যা হয়েছে, সেটাও বা কম কীসে? উদ্বোধনী জুটির ইতিহাসে এই জুটির ঠাঁই এখন ১২ নম্বরে। পেছনে ফেলেছেন এমন একটা জুটিকে, যাঁদের ইতিহাসেরই সর্বকালের সেরা জুটি মানা হয়। গর্ডন গ্রিনিজ আর ডেসমন্ড হেইন্স। ১৯৯০ সালের অ্যান্টিগা টেস্টে ২৯৮ করেছিলেন এই দুজন। ২৯৮ রানের আরেকটি উদ্বোধনী জুটির রেকর্ডের অংশীদার ছিলেন এমন একজন তো প্রেসবক্সে বসেই তামিম-ইমরুলকে প্রশংসার বৃষ্টিতে ভেজালেন—আমির সোহেল।
একটি রেকর্ডে অবশ্য সর্বকালের সেরা দশ জুটির তালিকায় ঠিকই নাম উঠে গেল দুজনের। দলের দ্বিতীয় ইনিংসে যেকোনো উইকেট জুটিতে রান করার তালিকায় ঠিক দশ নম্বরে আছে ৩১২ রানের এই জুটি। ১৯৯১ ওয়েলিংটন টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের তৃতীয় আর দলের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬৭ রানের জুটি গড়েছিলেন মার্টিন ক্রো আর অ্যান্ড্রু জোন্স। সেটি অবশ্য ছিল তৃতীয় উইকেটে।
আরেকটি তালিকায় এই জুটি উঠে এসেছেন সেরা পাঁচে! সাধারণত এই উপমহাদেশের উইকেটগুলো হয় রানপ্রসবা। ব্যাটসম্যানদের বন্ধু। ক্রিকেটের বড় বড় জুটিগুলোর ভেন্যুর দিকে তাকালেই তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উঠে আসে উপমহাদেশেরই কোনো মাঠের নাম। সেই এশিয়ায় খেলা টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতে ঠিক পাঁচে আছেন তামিম-ইমরুল। এশিয়ায় ৪০০ রানের উদ্বোধনী জুটিই আছে তিনটি। ৪১৫ রান নিয়ে সবার ওপরে নিল ম্যাকেঞ্জি আর গ্রায়েম স্মিথ। কোন দলের বিপক্ষে? বাংলাদেশ!
২০০৮ সালের সেই চট্টগ্রাম টেস্ট দেখার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের যে সমর্থকদের আছে, তাঁরাই খুব ভালো করে জানেন, কী এক অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে দেখতে হয়েছিল ম্যাচটি। টস জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দিনের দৃশ্যটা যেন ছিল লুপে আটকে পড়া ছোট্ট একটা ভিডিও। একপ্রান্ত থেকে বাংলাদেশের বোলাররা বল করে যাচ্ছেন, স্মিথ নয়তো ম্যাকেঞ্জি মেরেই চলেছেন।
রানের পর রান, উইকেটের দেখা নেই। সারাটা দিন!তামিম-ইমরুলরা সেই অভিজ্ঞতাটা ফিরিয়ে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন, সাদা পোশাকেও রঙিন স্বপ্ন দেখার দিন চলে এসেছে। আসছে দিন সমূহ উজ্জ্বল! প্লিজ ইমরুল, প্রতি ম্যাচে না হোক, মাঝে মধ্যেই তামিমকে বলবেন, ‘চল, রেকর্ড ভাঙি!’