• মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

উত্তরা’র হুন্ডি বানিজ্যে’র ওস্তাদ দিলীপ-গিরিধারী’র অবৈধ কারবারে এনবিআরের হানা


প্রকাশিত: ৭:০৮ পিএম, ৫ মার্চ ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫৯ বার

Dilip-Kumar-Modi-nbr-www.jatirkhantha.com.bdশফিক চৌধুরী.ঢাকা:
অবশেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর হানা দিয়েছে উত্তরা গ্র“পের দুই কর্নধার গিরিধারী-দিলীপ এর অবৈধ কারবারে  । এনবিআরের গোয়েন্দা সেল সিআইসি কর্মকর্তারা দৈনিক জাতিরকন্ঠকে বলেছেন, দেশে বিদেশে উত্তরা গ্রপের দিলীপ-গিরিধারী’র হুন্ডি বানিজ্যে তারা সমূলে উৎপাটন করবেন। এজন্য যা যা করা দরকার সব কিছুই তারা উদঘাটন করবেন। প্রাথমিকভাবে ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সিআইসি।

সূত্র জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) সম্প্রতি এ বিষয়ে  ব্যাংকগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে।দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে গতবছর ফেব্রুয়ারিতে গিরিধারী লাল মোদীর সম্পদের হিসাবও চাওয়া হয়েছিল।

Giridhari-Lal-Modi-nbr-www.jatirkhantha.com.bdউত্তরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক গিরিধারীর বিরুদ্ধে হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ বহু পুরনো। তার ছেলে দিলীপও এই গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন।   সিআইসির চিঠিতে দিলীপ কুমার মোদির সঙ্গে অলঙ্কার ব্যবসায়ী পবন কুমার আগারওয়াল ও জুলফিকার হায়দার নামে দুই ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

পবন কুমার রাজধানীর গুলশান-২ এর পিংক সিটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় গীতাঞ্জলী জুয়েলার্সের মালিক।চিঠিতে তাদের একক বা যৌথ নামে থাকা মেয়াদী আমানত হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি হিসাব, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড, ভল্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যে কোনো ধরনের ‘সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্টে’ ২০০৭ সালের ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত হালনাগাদ হিসাব চাওয়া হয়েছে।

সাধারণত কর ফাঁকি বা সম্পদ গোপন করার সন্দেহ থেকেই সিআইসি ব্যাংক হিসাবের খবর নিয়ে থাকে বলে এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান।আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ৪৫ লাখ ১৩ হাজার ১২০ টাকা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগে ২০০৭ সালে দিলীপের বাবা গিরিধারী লাল মোদীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

পরের বছর কর ফাঁকির অভিযোগে উত্তরা স্পিনিং মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিরিধারী ও কোম্পানির পাঁচ পরিচালকের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলাও করেছিল এনবিআর। দিলীপও ওই মামলার আসামি।  ২০০২-২০০৩ থেকে ২০০৬-২০০৭ করবর্ষ পর্যন্ত কোম্পানির ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৩৮ হাজার ২২৫ টাকার আয় গোপন করে এর ওপর প্রযোজ্য ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।

গিরিধারী লালসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা