• বুধবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৪

উজান ঠেলেই নৌকা যাবে ভয় নাই-দেশি-বিদেশী শক্তিকে চ্যালেঞ্জ প্রধানমন্ত্রীর


প্রকাশিত: ১২:১১ এএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২৩ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৫ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : দেশবিরোধী দেশি বিদেশি অপ শক্তিগুলোকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে পারে, এ জন্য তাদের স্যাংশনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। ভয়কে জয় করেই এগিয়ে যেতে হবে। মেঘ দেখে করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে। আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে জনগণের জন্য কাজ করে যেতে হবে। উজান ঠেলেই এগিয়ে যাবে নৌকা।শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ চ্যালেঞ্জ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে আন্দোলন-নিষেধাজ্ঞা দেখে ঘাবড়ে যান। ঘাবড়াবেন না, মনে রাখবেন এই মাটি আমাদের। নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। ভয়কে জয় করেই এগিয়ে যেতে হবে। মেঘ দেখে করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে। আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে জনগণের জন্য কাজ করে যেতে হবে। উজান ঠেলেই এগিয়ে যাবে নৌকা।উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে স্থিতিশীল গণতন্ত্রের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, টানা গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতায় দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। দেশবাসীকে কোন গণতন্ত্র দেবে বিএনপি, প্রশ্ন তোলেন তিনি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় এসে সড়ক, নৌ-পথ ও রেলপথের ব্যাপক উন্নয়ন করছে আওয়ামী লীগ সরকার।কারও কাছে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে যেতে হবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করেছি আমরা। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন অন্ধকার যুগে নেই। সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে দেশে, এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা বা নিষেধাজ্ঞা পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় সাময়িক সমস্যায় পড়েছে দেশ।

সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৭৫ থেকে ’৯৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। নিজেদের আখের গুছিয়েছে। এ দেশের মানুষের জন্য অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সুযোগ তারা দিতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য তারা গড়তে চায়নি। স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে দাঁড়াবে বাংলাদেশ, এটা কখনো তারা চায়নি।

তিনি বলেন, ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসি আমরা, এরপর জনগণের সেবা করতে শুরু করি। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করব সেই কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম মাত্র পাঁচ বছর। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, সবকিছু আমরা উন্নত করেছিলাম। এরপর আবার চক্রান্ত, ২০০১ থেকে ২০০৮। মোট ২৯টা বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, কী দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে তারা। কিছু দিতে পারেনি। তারা শুধু নিজেরা লুট করেছে, আখের গুছিয়েছে।

এর আগে আজ বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে টোল পরিশোধের মাধ্যমে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি আন্দোলন না করে বিএনপিকে ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, তারা ঘরে বসে এসিরুমে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। আর বাইরে পুলিশের গতিবিধি দেখে।

সুধী সমাবেশে আরও উপস্থিত আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, মোহাম্মদ আলী আরাফাত প্রমুখ।