• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ঈদে ঘরে ফেরায় স্বস্তি-যানজট নাই!


প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ৮ এপ্রিল ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার

আরিচা প্রতিনিধি : এবার ঈদে ঘরে ফেরায় স্বস্তি মিলছে। এখন পর্যন্ত যানজট নাই ঢাকা আরিচা মহাসড়কে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। টানা কয়েকদিনই ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ। তবে এখনও সড়ক, নৌ ও রেলপথে কোনো বড় বিপত্তির খবর মেলেনি। উত্তরাঞ্চল, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাত্রী ও গাড়ির চাপ বাড়লেও নেই কোনো ধীরগতি বা যানজট।

আজ সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের পরিবহন স্বাভাবিক দিনের মতোই চলতে দেখা গেছে। বাস-ট্রাকের পাশাপাশি মোটরসাইকেলে করেও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করতে যাচ্ছেন মানুষ।

দক্ষিণ এশিয়া উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (সাসেক)-২ প্রকল্পের অধীনে মহাসড়ক চার লেনে উন্নতকরণ ও সড়কের বিভিন্ন স্থানে আন্ডার পাস, ওভার পাস ও সেতু খুলে দেওয়াতে মহাসড়কে কোথাও নেই যানযট ও ধীরগতি।পুলিশ জানিয়েছে, এই মহাসড়কে যানজট নিরসনে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কাজ করছেন ১ হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য।

এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও গাড়ির চাপ থাকলেও যানজট নেই। আজ সোমবার সকালে মহাসড়কে দূরপাল্লার গণপরিবহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যাও বেশি দেখা গেছে। গণপরিবহন সংকটে খোলা ট্রাক, বাস ও পিকআপ করেও অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে।

ট্রাক-পিকআপ করেও অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনট্রাক-পিকআপ করেও অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই মহাসড়কে গত দুইদিনের তুলনায় আজ সোমবার যানবাহনের চাপ অনেকটাই বেড়েছে। তবে কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। মহাসড়কে স্বস্তির ঈদযাত্রা করতে সাত শতাধিক পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৯ হাজার ৭৮০টি যানবাহন পার হয়েছে। যা থেকে টোল আদায় হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

এদিকে রোববার দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর গাড়ি বিকল ও মহাসড়কের কালিহাতীর ভাবলা এলাকায় ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।উত্তরের সড়কের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও এখন পর্যন্ত যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। গার্মেন্টসসহ শিল্প প্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ায় গত দুই দিনের তুলনায় আজ ঘরমুখো যাত্রী ও পরিবহনের চাপ একটু বেড়েছে। তবে অনেক গার্মেন্টস আজ সোমবার বন্ধ হবে। ফলে আজ বিকেলের পর থেকে সড়কে চাপ আরও বাড়তে পারে।

যাত্রীরা বলছেন, কোনোরকম দুর্ভোগ ছাড়াই নির্বিঘ্নে তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন। এদিকে চালকেরা জানিয়েছেন, গত ঈদে যেমনটা যানজট পোহাতে হয়েছে এ বছর তেমন যানজট নেই। তবে যাত্রী সংখ্যা একটু কম থাকায় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তাদের।

তবে পুলিশ ও পরিবহন শ্রমিকদের শঙ্কা, আজ সোমবার গার্মেন্টেস ছুটির পর এসব রুটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ বাড়বে। এদিকে, যাত্রীচাপ বাড়লেও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটেও যাত্রীরা ফেরি পার হচ্ছেন স্বস্তিতে।সোমবার সকাল থেকে সাভারের ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক দিয়ে ভোগান্তি ছাড়াই উত্তরবঙ্গের দিকে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। কোথাও যানজট দেখা যায়নি।

তবে চন্দ্রায় সকাল থেকেই যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। তবে পরিবহন শ্রমিক ও সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বলছেন, আজ দুপুরের পর থেকে সাভার শিল্পাঞ্চলের সব পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি শুরু হবে। এজন্য বিকেল থেকে সড়কে যাত্রী ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ তৈরি হবে। অতিরিক্ত চাপে সন্ধ্যার পর সড়কে যানজট হতে পারে।

এদিকে, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে যানবাহনের চাপ বাড়লেও স্বস্তিতে ফেরি পার হচ্ছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ।মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে যাত্রীরা ফেরি পার হচ্ছেন স্বস্তিতে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাটে মোট ২২টি ফেরি স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। যানবাহন বেশি না থাকায় ফেরিগুলো নোঙর করে রাখা হয়েছে। আর যারা আসছেন তাঁরা অপেক্ষা না করে স্বস্তিতে ফেরি পার হয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এখন ঘাটে যানবাহনের চাপ না থাকলেও কাটাপথে আসা যাত্রীচাপ আগের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে।