ঈদের কাঁচা চামড়া কমদামে বিক্রি হচ্ছে
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : কোরবানির কাঁচা চামড়া সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বড় আকারের গরুর চামড়া প্রতিপিস ৯০০-১২০০ টাকা এবং মাঝারি আকারের চামড়া ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের চামড়া বিক্রি হচ্ছে প্রতিপিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
ঢাকার সিটি কলেজের সামনে কাঁচা চামড়া কিনতে আসা লুৎফুর রহমান হিমু বলেন, এ বছর সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা কম দামে কাঁচা চামড়া কিনছি। সরকার নির্ধারিত দামে কাঁচা চামড়া কিনলে লাভ হবে না। কারণ পরিবহন খরচ, লবণের দাম ও শ্রমিকদের মজুরি গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
তিনি বড় আকারের (৩০-৩২ বর্গফুট) গরুর চামড়া ৯০০ টাকা ও মাঝারি আকারের (২০-২২ বর্গফুট) চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় কিনছেন।হিমু আরও বলেন, আমি ছোট গরুর চামড়া ৫০০ টাকা দরে কিনছি ও ছাগলের চামড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কিনছি।
একই এলাকার আরেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘বড় আকারের (৩৫ বর্গফুট) গরুর চামড়া ১২০০ টাকা, মাঝারি আকারের (২২-২৫ বর্গফুট) ৮০০-৯০০ টাকা এবং ছোট আকারের গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় কিনছি।’
সরকার এ বছর কোরবানির ঈদে ঢাকায় গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। ঢাকার বাইরে গরুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা বর্গফুট। আর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি বর্গফুট ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ২০ টাকা।
অনুদান হিসেবে কাঁচা চামড়া পাওয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলো জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর তারা ভালো দামে কাঁচা চামড়া বিক্রি করতে পেরেছেন।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খান বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি হচ্ছে। তারা বড় আকারের গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং মাঝারি আকারের গরু ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং ছোট আকারের গরু ৫০০ টাকায় কিনছেন।’
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ১ কোটি ৩০ লাখ পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল। এর মধ্যে ৮৫ লাখ গরু এবং ১৫ লাখ ছাগল, মহিষ ও ভেড়া।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে বাংলাদেশ ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করেছে। যা গত বছরের চেয়ে ০ দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়েছে।