• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

ইসির সঙ্গে সংলাপ-বিএনপি আশাবাদী


প্রকাশিত: ৯:৫৩ পিএম, ১৫ অক্টোবর ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৯ বার

 

স্টাফ রিপোর্টার :  নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে কিছুটা আশাবাদী হতেই হয় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর bnp-www.jatirkhantha.com.bdবলেছেন: ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটের সংলাপ নিছক প্রহসনের সংলাপ হবে না বলে আমরা করছি। তিনি বলেন: কমিশন আমাদের প্রস্তাবগুলো সানন্দে গ্রহণ করেছেন এবং তারা আলোচনা করে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন: সংলাপে আমরা  নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন, ১/১১-এর সময়ে দায়ের করা খালেদা জিয়ার সকল মামলাসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশকৃত মামলা তুলে নেয়া, গুম-খুন বন্ধ করা, সকল দলকে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া, ১৯৭২ এর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন, সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, প্রশাসনকে নির্দলীয়করণ, ব্যালট পেপারে দৃশ্যমান জলছাপের ব্যবহার, প্রবাসী ও কারাভোগীদের ভোটার তালিকায় সংযোজন ও মৃতদের নাম বাদ দেয়া, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করাসহ ২০টি প্রস্তাব তুলে ধরেছি।

রোববার সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া সংলাপ শেষ হয় ২.১০টার দিকে। দীর্ঘ ২.৩৫ মিনিটের সংলাপে বিএনপি সন্তুষ্ট কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন: সিইসি নিজেই বলেছেন বতমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে তাদের। দেশে বর্তমানে গণতন্ত্রের আসল রূপ নেই বলেছেন তারা। তবুও তারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী আমাদের প্রস্তাবগুলো নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন: আমরা বলেছি, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া নির্বাচন কমিশনের পবিত্র দায়িত্ব। তারা বলেছেন, তাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তবু নিজেদের অবস্থানে থেকে কাজ করবেন। এমতাবস্থায় কিছুটা আশাবাদী হতে হয়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে রোববার বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি প্রতিনিধি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, আব্দুর রশিদ সরকার, আব্দুল হালিম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী প্রমুখ। অসুস্থতার কারণে এমকে আনোয়ার অংশ নিতে পারেননি।