• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

‘ইভিএমের পরিকল্পনা সকল নির্বাচনে ‘


প্রকাশিত: ৩:৫৯ পিএম, ২৭ অক্টোবর ১৮ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৬ বার

 

স্টাফ রিপোর্টার : এখনো ইভিএমের আইনগত ভিত্তি হয়নি। ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি সংশোধন হলেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম প্রয়োগ করা হবে। তবে, সকল কেন্দ্রে সম্ভব না হলেও পর্যায়ক্রমে জাতীয় ও স্থানীয় সকল নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদা। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে খুলনার জিয়া হল চত্বরে ইভিএম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে শুক্রবার বিকেলে তিনি সড়ক পথে খুলনায় আসেন।

এ সময় তিনি বলেন, সরকার, জেলা-উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন এবং ইউনিয়ন পরিষদসহ সকল জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিনিধি গঠনের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে। জনগণের ভোট নিয়েই জনপ্রতিনিধিরা এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় নির্বাচনের শুরু থেকেই নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে ব্যালট পেপার ছিনতাই, রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি এবং একজনের ভোট অন্যজনে দিয়ে দেয়। ভোটের মর্যাদা, ভোট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, ভোট প্রদানের স্থায়ী সমাধান এবং ভোটারের স্বার্থ রক্ষার জন্যই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এতে করে ভোটের রাতে কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্স পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। একইসঙ্গে এ পদ্ধতিতে ব্যালট পেপার ছিনতাই, রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি এবং একজনের ভোট অন্যজন দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। তবে, আইনগত ভিত্তি এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই কেবল ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

উদাহরণ হিসেবে তিনি কেসিসির সর্বশেষ নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রে উল্লিখিত অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ইভিএমে ভোট হলে এ ধরনের অনিয়মের কোনো সুযোগই থাকবে না। উপরন্তু নির্বাচনী ব্যয় এবং লোকবলের তিন ভাগের দুই ভাগের প্রয়োজনীয়তাই কমে যাবে। মূলত, জনপ্রতিনিধিদের ভোটারের ওপরে নির্ভরশীল করতেই ইভিএম পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার প্রসঙ্গ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, যারা ইভিএমের বিরোধিতা করছেন, তারা আসলে ইভিএম সম্পর্কে না জেনেই করছেন। তিনি তাদেরকে ইভিএম সম্পর্কে ভালো করে জেনেশুনে ধারণা নেওয়ার অনুরোধ করেন। তবে, সংশ্লিষ্টরা ইভিএমের ত্রুটি বা গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে কোনো পরামর্শ দিলে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।