ইউপিডিএফের ২চাঁদাবাজ হত্যার নেপথ্যে কে!
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : রাঙ্গামাটিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) দুই কর্মীকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার প্রায় ২৪ ঘন্টা পার হতে চললেও পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি মূল ঘাতকদের।নিহতরা হলেন-আকর্ষণ চাকমা (৪২) ও শ্যামল কান্তি চাকমা সুমন্ত (৩০)। শুক্রবার ভোররাতে নানিয়ারচর উপজেলার মহালছড়ির সীমান্তবর্তী রামসুপারি পাড়া এলাকায় তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান, শুক্রবার ভোরে রামসুপারি পাড়া গ্রামে নিহতদের ঘরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। তাদেরকে ঘুম থেকে তুলে বাহিরে নিয়ে ৭-৮ রাউন্ড গুলি করে দুইজনের মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা।অভিযোগ উঠেছে দলত্যাগ ত্যাগ করে ইউপিডিএফ-এ যোগ দেওয়ার ‘অপরাধে’ এই দুই কর্মীকে হত্যা করা হয়। সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) বিরুদ্ধে এ দুই কর্মীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা)।
ইউপিডিএফ এর প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সহ তথ্য প্রচার সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা এই অভিযোগ অস্বীকার করে জাতিরকন্ঠকে বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমাদের দল কোনোভাবেই জড়িত না। এই ঘটনা ইউপিডিএফ ঘটিয়ে এখন দায় আমাদের ওপর দিচ্ছে।’আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, নিহতরা গ্রামের ইউপিডিএফ (প্রসিত) গ্রুপের চাঁদা আদায়কারী ছিলেন। ইউপিডিএফে যোগ দেওয়ার পর থেকে আকর্ষণ ও সুমন্ত ওই এলাকায় সংগঠনটির জন্য চাঁদা তুলতেন।