• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ইউনিসেফ পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ৫:৫০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭৫ বার

 

ডেস্ক রিপোর্টার : তরুণদের দক্ষতা করে গড়ে তোলায় জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের লেবানিজ হলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফোর প্রধানমন্ত্রীকে যখন এই পুরস্কার তুলে দেন তখন জোর করতালিতে ফেটে পড়ে পুরো হল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসানও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কারটি গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আসলে এটা বাংলাদেশের অর্জন, বিশেষ করে বাংলদেশ ও বিশ্বের সব শিশুদেরই স্বীকৃতি প্রাপ্য।’ পুরস্কারটি তিনি বাংলাদেশ ও বিশ্বের সব শিশু-কিশোরদের উৎসর্গ করেন।তিনি বলেন, ‘এই সম্মান আমার একার না। এটি পুরো বাংলাদেশের। কারণ, বাংলাদেশের মানুষই আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, সে জন্যই আমি সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। এই পুরস্কার অর্জনের সুযোগ পেয়েছি।’

এসময় প্রধানমন্ত্রী দেশের স্কুলের উন্নয়নে প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়। তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ তরুণ প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে এখন তাদের জীবন ও সমাজ পরিবর্তন করছে। বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও অর্থনীতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি আমাদের অঙ্গীকার ছিল।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তরুণসমাজ দেশের বিভিন্ন সংকটে সাহসী ভূমিকা রেখেছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানও বুঝতে পেরেছিলেন তরুণদের ছাড়া উন্নতি সম্ভব না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একটি জ্ঞানী ও বুদ্ধিদীপ্ত তরুণ প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই, যারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবছর বাংলাদেশের শ্রমবাজারে ২০ লাখ তরুণ চাকরিতে ঢুকছে। আমরা তরুণদে দক্ষতার ওপর জোর দিচ্ছি এবং সেজন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদার কথা বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তরুণদের জন্য উন্মুক্ত ও কারিগরি শিক্ষায় জোর দিয়েছে। সরকার ১০০টি উপজেলায় কারিগরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করছে। দেশের অন্যান্য উপজেলাতেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে।শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার সরকার কাউকে পিছিয়ে রাখতে চায় না। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও বেকার তরুণদের দক্ষ মানবসম্পদে গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।’

বাংলাদেশের প্রতি অব্যাহত সমর্থন রাখায় ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবসমই বাংলাদেশের পাশে ছিল ইউনিসেফ।’ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফোর বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দারুণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিভিন্ন সেক্টরে উন্নতি করছে।’ এছাড়া, মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাকিব আল হাসানও। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ সবসময়েই শিশুদের বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছে। সেজন্যই এখন শিশুমৃত্যুহার এতটা কমানো সম্ভব হয়েছে এবং স্কুলে জেন্ডার সমতা অর্জন করা গেছে।’সাকিব বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী সামনে থেকে এই নেতৃত্ব দিয়েছেন। এটা দারুণ যে বাংলাদেশের এই উন্নতির স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।’ এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান সাকিব।