• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ইউনিলিভার বিজিএমইএ আস্থা চুক্তি


প্রকাশিত: ৯:৪৮ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ১৯ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩৬ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশে এসজিডির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইউনিলিভার বিজিএমইএ আস্থা চুক্তি করেছে। ইউনিলিভার ও বিজিএমইএ এ যৌথ পার্টনারশীপ আস্থার এর স্বাক্ষর ছাড়াও ইউলিভার ১৮ টি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং এই চুক্তির আওতায় ইউনিলিভার সেই সকল পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে সামাজিক উন্নয়ন মুলক কাজ পরিচালনা করবে।এই চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষে গত সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে ইউনিলিভার ও বিজিএমইএ যৌথভাবে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যেখানে জনাব মো: নজীবুর রহমান, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর মুখ্য সচিব (প্রধান অতিথি), জনাব নিতিন পরাঞ্জপে, ইউনিলিভার এর গ্লোবাল চিফ অপারেটিং অফিসার, ড. রুবানা হক, বিজিএমইএর সভাপতি, জনাব রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, ব্রিটিশ হাই কমিশনার (বিশেষ অতিথি), জনাব হ্যারি ভারওয়ে, নেদারল্যান্ডস এর রাষ্ট্রদূত (বিশেষ অতিথি) এবং জনাব সান্জীভ মেহতা, ইউনিলিভার সাউথ এশিয়ার সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এমএমসিজি কোম্পানী ইউলিভার বাংলাদেশ এবং দেশের গার্মেন্টস ম্যানুফাকচারর্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোশিয়েশন (বিজিএমইএ) পোশাক শিল্পে জড়িত কর্মীদের জীবনের উন্নতীর লক্ষ্যে আগামী ৩ বছর কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সংগঠন দুটি বাংলাদেশে এসজিডির লক্ষমাত্রা অর্জনকে সামনে রেখে একসাথে কাজ করবে।ইউনিলিভার তাদের ব্রান্ড গুলোর সামাজিক উন্নয়নের যে উদ্দেশ্য ও লক্ষমাত্রা নিয়ে কাজ করলে সেগুলোকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজের একটি বড় জনগোষ্ঠীর উন্নয়নই এই পার্টনারশীপের লক্ষ্য। ইউনিলিভার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টও জনাব কেদার লেলে এবং বিজিএমইএ এর প্রেসিডেন্ট ডক্টর রুবানা হক।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এর অন্যতম শক্তি এই পোশাক শিল্প এদেশের জিডিপিতে বিশাল অবদান রাখে যা সর্বমোট জিডিপির ১১ শতাংশ। বর্তমানে পোশাক শিল্পে ৪৪ লক্ষ কর্মী নিয়োজিত আছেন যার ৬০.৮ শতাংশই নারী কর্মী। তাই বাংলাদেশের অর্থনেতিক চিত্র অনেকটাই নির্ভও কওে এই শিল্পের অগ্রগতী ও উন্নয়নের উপর।ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড ও বিজিএমইএ-র মধ্যে এই পার্টনারশীপটি এসডিজির অগ্রগতির উদ্দেশে করা সর্বপ্রথম সেক্টোরাল উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ১০ লাখেরও বেশি কর্মীর স্বাস্থ্য ও অর্থনেতিক উন্নয়নে কাজ করা হবে।৪টি এসডিজি ও ৬টি ন্যাশনাল পারফরমেন্স ইনডিকেটরকে (প্রতিটি এসডিজি এর অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশের সরকারের নির্দিষ্ট টার্গেট) উদ্দেশ্য করে এই উদ্যোগের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

এসডিজি ৩: সকল বয়সী সকল মানুষের জন্য সুস্বাস্থ ও কল্যান নিশ্চিতকরণ; এনপিআই ৫: ১,০০০ জীবিত জন্মে নবজাতকের মৃত্যুহার কমপক্ষে ১২-তে নামিয়ে আনা; এনপিআই ৬: ১,০০০ জীবিত জন্মে অনূর্ধ ৫-বছর বয়সী শিশুর মৃত্যুহার কমপক্ষে ২৫-এ নামিয়ে আনা; এসডিজি ৬: সকলের জন্য পানি ও স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা; এনপিআই ১৭: সকলের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা; এনপিআই ১৮: সকলের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করা; এসডিজি ১২: পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা; প্লাষ্টিক রিসাইক্লিং এর মাধ্যমে সার্ক্যুলার ইকোনমি নিশ্চিত করা; এসডিজি ১৭: টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশিদারিত্ব উজ্জীবিতকরণ ও বাস্তবায়নের উপায়সমূহ শক্তিশালী করা এছাড়াও, ইউনিলিভার ফ্যাক্টরির কর্মীদের জন্য ফ্যাক্টরির ভিতরের দোকানে (ফ্যাক্টরির নিজস্ব অথবা থার্ড পার্টির মালিকানাধীন) বিশেষ মূল্যে ইউনিলিভারের পণ্যের ব্যবস্থা করা হবে।