• শুক্রবার , ১৮ অক্টোবর ২০২৪

আয়রন লেডি শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব সাফল্য বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পাস


প্রকাশিত: ১০:৫০ এএম, ৮ মে ১৫ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৭ বার

-modi_sheak_hasina-www.jatirkhantha.com.bdশফিক আজিজ. ঢাকা: একেই বলে আয়রন লেডি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক সাফল্য ও দক্ষতা। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত ও তাঁর রাজনৈতিক-কূটনৈতিক দক্ষতা এবং আদর্শে উজ্জিবিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে অবশেষে পাশ হলো বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল।

ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের ১১৯তম এই বিলটি ৩২২ ভোটে পাস হয়। বিলটি ভারতীয় সংসদের দুই কক্ষেই পাস হওয়ায় এখন স্থলসীমান্ত চুক্তি ও এর প্রটোকল ভারতের মন্ত্রিসভায় অনুসমর্থন হবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্ত নিয়ে ৬৮ বছরের কষ্ট এবং ৪১ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো। এর মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্ত সমস্যারও সমাধান হতে যাচ্ছে খুব শিগগির।

india-bangla-www.jatirkhantha.com.bdভারতের রাজ্যসভায় বুধবার বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পাসের পর বৃহস্পতিবার দেশটির লোকভায় তা পাস হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের ১১৯তম এই বিলটি ৩২২ ভোটে পাস হয়। বিলটি ভারতীয় সংসদের দুই কক্ষেই পাস হওয়ায় এখন স্থলসীমান্ত চুক্তি ও এর প্রটোকল ভারতের মন্ত্রিসভায় অনুসমর্থন হবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্ত নিয়ে ৬৮ বছরের কষ্ট এবং ৪১ বছরের অপেক্ষার অবসানের মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্ত সমস্যারও সমাধান হতে যাচ্ছে।

বিলটি পাসের পর গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে বিলটি পাসের কথা জানান। শেখ হাসিনা তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। এদিকে লোকসভায় বিলটি পাসের সময় আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিটের দাবি জানানো ছাড়াও ভারত থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিতাড়নে মোদি সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। বিলটি পাসের সময় ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আলী লোকসভায় দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন।

13ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া চারটায় লোকসভায় বিলটি উত্থাপন করেন। বিলটি নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টিসহ অন্য দলগুলোর ৪০ জন সংসদ সদস্য বিলটির ওপর আলোচনা করেন। তারা ছিটমহলবাসীদের দুর্দশা, বাংলাদেশের জš§ ইতিহাস ও ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি নিয়ে কথা বলেন। বিতর্কে অধিকাংশ এমপি বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ার কথা বললেও শিবসেনা বা বিজেপির কোনও কোনও এমপি ভারত থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান। বক্তাদের মধ্যে একমাত্র আসামের এআইডিইউএফ দলের সংসদ সদস্য সিরাজুদ্দিন আজমল বিলটির সরাসরি বিরোধিতা করেন।

14আলোচনা শেষে লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন ভোটপর্ব শুরু করেন। উপস্থিত ৩২৩ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ৩২২ জন স্থল সীমান্তচুক্তি বিল পাসের পক্ষে ভোট দেন। সে সময় অধিবেশন কক্ষে সংসদ সদস্যরা বাংলাদেশ নিয়ে গানও করেন। বিলটি পাসের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধী দল কংগ্রেসনেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘দুই দেশের অমীমাংসিত বিষয়টি সমাধানের জন্য তার ও কংগ্রেসের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়। এখন এই চুক্তি বাস্তবায়নসহ দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে তার (সোনিয়া) সহযোগিতা চাই।’

সুষমা স্বরাজ বিলটি উত্থাপনের সময় তার বক্তব্যে বলেন, আমরা সব সংসদ সদস্য আজ একসঙ্গে এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়ে বাংলাদেশকে বার্তা দিতে চাই, বাংলাদেশ ইস্যুতে আমরা সবাই এক। ১৯৭১ সালের মতো বন্ধুত্বের নিদর্শন রেখে আমরা আবারও বাংলাদেশের পাশে থাকতে চাই। সুষমা স্বরাজের বক্তব্যের সময় উপস্থিত লোকসভার সদস্যরা বারবার হাততালি দিয়ে ধন্যবাদ প্রকাশ করেন। সুসমা স্বরাজ বিলের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, এই বিল পাসের মধ্য দিয়ে দুশের দীর্ঘদিনের সীমানা সমস্যার সমাধান হবে। তিনি বিলটি সমর্থন করার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাসীকে দেখাতে চাই আমরা এ বিষয়ে সবাই একমত। ভারত কোনো প্রতিবেশীর বিগ ব্রাদার নয়, আমরা এল্ডার ব্রাদার হতে পারি। তিনি বলেন, বিগ ব্রাদার শব্দটির মধ্যে এক ধরনের এরাগেন্সি রয়েছে।’ লোকসভায় বিতর্কের শেষের ভাষণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানান, বাংলাদেশের ভেতর ভারতীয় ছিটমহলে এখন যারা আছেন, তারা ভারতে ফিরতে চাইলে তারা নাগরিকত্ব তো পাবেনই, তাদের রেশন কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রেরও ব্যবস্থা করা হবে। এই পুনর্বাসন বা ক্ষতিপূরণ প্যাকেজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তহবিল জোগাবে, তবে তা খরচ করা হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের মাধ্যমেই।

উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির সংসদ সদস্য মুলায়ম সিং যাদব বলেন, হিন্দুস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নিয়ে একক শক্তি গড়ে তোলা দরকার। তাহলে সীমানায় গ-গোল হবে না। সাধারণ মানুষ সেটাই চায়। কিন্তু একদল কুচক্রী এটা চায় না। তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য সুগত বসু বলেন, ১৯৪৭ সালের দেশভাগ অনেক বির্তক তৈরি করেছে যা আজও আমরা বয়ে চলছি। আজ তা মেটানোর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে আমি খুশি।

শিবসেনা এমপি বিনায়ক ভাউরাও রাউত বিতর্কে অংশ নিয়ে বলেন, সীমান্ত বিল পাস হচ্ছে খুব ভালো কথা, কিন্তু মহারাষ্ট্রে অবৈধ বাংলাদেশিরা নানা অশান্তির মূলে, এদের ফেরত পাঠানোর জন্য ভারত সরকার কী করছে সেটাও আমাদের জানানো হোক। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থী শিবিরগুলো ও পরে ঢাকায় তার সফরের স্মৃতিচারণা করে তৃণমূলের সংসদ সদস্য সুগত বসু বলেন, এই বিলটির অনুমোদনের মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যার যে নিষ্পত্তি হবে তাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ বা চোরাকারবারের সমস্যাও অনেকটাই দূর হবে বলে আশা করা যায়। এটাকে এই বিলের একটা ‘বাইপ্রোডাক্ট’ বা বাড়তি লাভ বলেও বর্ণনা করেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের সংসদ সদস্য অধীররঞ্জন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খাদ্য, ভাষা, সংস্কৃতি সব বিষয়েই আবেগের সম্পর্ক। আমরাও চাই এ বিল পাস হোক। বিজেপির আসামের এমপিরা অবশ্য তাদের ক্ষোভ পুরো চেপে রাখতে পারেননি। তাদের ইচ্ছা ছিল আসামকে আপাতত বিলের বাইরে রাখা হোক। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নের্তৃত্ব তাদের সেই দাবি শেষ পর্যন্ত মানতে রাজি হননি।

আসাম থেকে নির্বাচিত বিজেপির সংসদ সদস্য রাজেন গোঁহাই বিতর্কে অংশ দিয়ে বলেন, পুরো আসামটাই ধীরে ধীরে বাংলাদেশের ছিটমহলে পরিণত হচ্ছে, সেটা ঠেকাতে হবে। তবে ট্রানজিটের জোরালো দাবি তোলেন আর এক বিজেপি সংসদ সদস্য দার্জিলিংয়ের সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। আলুওয়ালিয়ার কেন্দ্রের একটা অংশ বাংলাদেশ সীমান্তে পড়ছে, শিখ হলেও তার জš§ ও পড়াশোনা পশ্চিমবঙ্গেই এবং তিনি পার্লামেন্টে আজ আবেগপূর্ণ ভাষণ দেন বাংলা ভাষায়। এসএস আলুওয়ালিয়া বলেন, আমি বাংলায় ভাষণ দিচ্ছি। কারণ দুই বাংলার লাখ লাখ মানুষ মিডিয়ার মাধ্যমে শুনছে।

দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিজেদের মাটি রক্ষা করতে নিজেদের জীবন দেয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বলেছিলেন, ইতিহাস পরিবর্তন করা যায় কিন্তু ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। তাই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভূগোল পরিবর্তন করার প্রশ্ন আসে না, তবুও এনডিএ সরকার আজ ভূগোল পরিবর্তন করছে। এতে আমি সমর্থন করব। আলুওয়ালিয়া বলেন, এই বিল পাস হওয়ার পর বাংলাদেশের উচিত ভারতকে রেল, সড়ক ও ট্রানজিটের অধিকার দেওয়া।

তিনি বলেন, ‘আচ্ছা আমাদের কেন শিলিগুড়ি হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যেতে হবে? ঢাকা হয়ে গেলে কত সহজে, কত আরামে আমরা শিলচর-আগরতলা বা নর্থ-ইস্টের রাজ্যগুলোয় যেতে পারব। তাই আমার দাবি হবে এরপর ভারত সরকার যখন বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তখন যেন রেল-রোড-রিভার অ্যাক্সেসের জন্য দাবি জানানো হয়।’

ভারতের বিগত কংগ্রেস সরকার কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও বিজেপি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতায় রাজ্যসভা ও লোকসভায় তা পাস করাতে ব্যর্থ হয়। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের অংশ হিসাবে ঝুলে থাকা সমস্যাটি সমাধানের উদ্যোগ নেন।শুরু থেকে আপত্তি করে আসা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাও নানা চাপের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সম্মতি দেন। পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৩ হাজার ৮৮৯ কোটি রুপির পুনর্বাসন প্যাকেজ দেওয়া হবে বলে সুষমা স্বরাজ বুধবারই রাজ্যসভায় জানিয়ে দেন।

বিজেপির রাজেন্দ্র গোঁসাই, রবীন্দ্র জেনা ও শিব সেনার বিনায়ক রাউত অনুপ্রবেশ সমস্যার সমাধানে সরকারকে উদ্যোগী হতে বলেন। রাজেন্দ্র গোঁসাই বলেন, গোটা আসামই বাংলাদেশের ছিটমহল হয়ে গেছে। অনুপ্রবেশকারীরা এই রাজ্যকে এক চরম সমস্যার মুখে দাঁড় করিয়েছে। একই অভিযোগ রবীন্দ্র জেনা ও বিনায়কের। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে। তাঁদের সম্মিলিত দাবি, এই চুক্তির পর সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলে অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। সুষমা অবশ্য এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বারবার বলেন, এই বিল পাস হলে দুই দেশের সম্পর্ক সেই ’৭১ সালে যেমন ছিল, তেমনই হয়ে যাবে। ট্রানজিট, বাণিজ্য, নদীর পানিবণ্টন, বিদ্যুৎ, নিরাপত্তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা অনেক বেড়ে যাবে। প্রকৃত সৌভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুতার নিদর্শন রাখতে পারবে এই দুই দেশ, যা দুজনকেই এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

সিপিএমের মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘আমরা সংঘাতের জন্য অনেক খেসারত দিয়েছি, এবার সহযোগিতার ফসল আমাদের ঘরে তুলতে হবে।’ সুগত ও সেলিম দুজনেই স্থায়ী কমিটির সদস্য, যে কমিটি রেকর্ড সময়ে সর্বসম্মতিতে তাঁদের সুপারিশ জমা দিয়েছিল। তাঁরা বলেন, এই বিল সহযোগিতার একটা উদাহরণ হয়ে থাকল। প্রত্যেকের কথায় বারবার চলে আসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, অন্নদাশঙ্কর রায়, জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মনমোহন সিং, শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদি, সুষমা স্বরাজের নাম। উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও ভূপেন হাজারিকার গান, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। রাজনীতি ছাপিয়ে বড় হয়ে ওঠে আবেগ এবং এক জাতি এক প্রাণ একতার ছবি। ইনসানিয়াতের কথা। বিল পাসের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসন ছেড়ে এগিয়ে যান সোনিয়া গান্ধীর কাছে। তারপর একে একে সব বিরোধী নেতাকে অভিনন্দন জানান।

১৯৭৪ সালের ১৬ মে দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রটোকল চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে ভারত ও বাংলাদেশ নিজ নিজ দেশের অভ্যন্তরে ছিটমহল বিনিময়ে সম্মত হয়। বাংলাদেশ ওই চুক্তিতে অনুসমর্থন দিলেও জমি হস্তান্তরে ভারতের সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন হওয়ায় বিষয়টি আটকে থাকে।