আসামী বান্ধব জজ সাদিকুলের টাকার পাহাড়
জেলা প্রতিনিধি আসামী বান্ধব জজ সাদিকুলের টাকার পাহাড় নিয়ে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আইন মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিলেও নিজেকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে আসামী বান্ধব জজ সাদিকুল অবৈধ পন্থায় মাঠে নেমেছেন।
আমাদের জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদারকে বিচারিক কাজ থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। বিচারিক অসততা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থাগ্রহণ করল আইন মন্ত্রণালয়।
রামু বৌদ্ধ মন্দির হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও মামলার প্রধান আসামি বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান (বরখাস্তকৃত) তোফায়েল আহমদের আতিথেয়তা গ্রহণ করে গত ১৭ অক্টোবর মাছ শিকার করতে গিয়েছিলেন জজ সাদিকুল ইসলাম। মাছ শিকারের পর ওই আসামির আয়োজনে ভুরিভোজেও অংশগ্রহণ করেন তিনি।
চট্টগ্রামের জেলা জজ ও দায়রা মো. নুরুল হুদার তদন্ত প্রতিবেদনে এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এছাড়া হত্যা, অস্ত্র ও ইয়াবা মামলার আসামিদের জামিন প্রদানের ক্ষেত্রে বিচারিক অসততা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
যা সুনির্দিষ্টভাবে দুর্নীতির প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে বলে ওই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের এ সংক্রান্ত জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএ) কমিটি জজ সাদিকুলকে অবিলম্বে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা পাওয়ার পরই আইন মন্ত্রণালয় সাদিকুলকে বিচারিক কাজ থেকে প্রত্যার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্তের আদেশ জারি করে।