নুরুজ্জামানের দেওয়া ভাষ্য, ধরা পড়া ডাকাতের নাম বোরহান মিজান ও সাইফুল ইসলাম। সাইফুলের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবির হরেন্দ্রবাজার গ্রামে ও বোরহানের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানার সংকরপাশা গ্রামে।
নুরুজ্জামানের দাবি, বোরহান শিবির-কর্মী। তাঁর পুরো পরিবার জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সাইফুলের পরিচয়ের ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, ডাকাতেরা ব্যাংকে প্রবেশ করেই টাকা নিতে সাধারণত ভল্টে যাওয়ার কথা। কিন্তু তাঁরা ভল্টে যাননি। সেখান থেকে টাকা না নিয়ে প্রথমেই হত্যাকাণ্ড ঘটান। হামলায় অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছেন-এমনটা দাবি করে নুরুজ্জামান বলেন, হামলায় ব্যবহৃত বোমা-গ্রেনেড বিদেশি সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি। বাজারে এসব অস্ত্র পাওয়া সম্ভব নয়। এসব অস্ত্র কেবল সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে থাকে।
ডিআইজির ভাষ্য, ঘটনা তদন্তে ব্যাংকের সিসিটিভির ফুটেজগুলো পরীক্ষা করা হবে। সাত-আটজন সামনে থেকে এ হামলা চালালেও তাঁদের সহায়তার জন্য অনেক লোক পেছন থেকে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনার করা মামলায় অজ্ঞাত আসামির নামে স্থানীয় কাউকে হয়রানি করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করেন নুরুজ্জামান।