• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

`আল্লাহ সহায় থাকলে বিশ্বকাপে আমরা অবশ্যই ভালো করব’


প্রকাশিত: ৮:৫৩ এএম, ২১ জানুয়ারী ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২১০ বার

 

  
Mushfiqur-Rahim-www.jatirkhantha.com.bd
স্পোর্টস রিপোর্টার.ঢাকা:`আল্লাহ সহায় থাকলে 
বিশ্বকাপে
আমরা অবশ্যই ভালো করবএবারের বিশ্বকাপে  বাংলাদেশ দলের প্রাথমিক লক্ষ্য দ্বিতীয়
পর্ব বা  কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা। মুশফিকও সেটাই বললেন।  শুধু বলা নয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের
সে  সামর্থ্য আছে বলেও তাঁর বিশ্বাস, ‘আমাদের দলে পারফরমারের সংখ্যা অনেক বেশি। চার-পাঁচজন
যদি একসঙ্গে পারফর্ম করতে পারে, তাহলে
দৃশ্যপটই পাল্টে যাবে। দ্বিতীয় রাউন্ড
কেনআমরা তখন অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারব।musfiqur rahim-www.jatirkhantha.com.bd---
অনুশীলনের ফাঁকে কোনো দিন দুজন, কোনো দিন একজন করে আসছেন সংবাদ সম্মেলনে। কথা বলছেন দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি
নিয়ে, নিজের লক্ষ্যের ব্যাপারেও। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে
কাল এই পর্বে এলেন মুশফিকুর রহিম।

২০১৪ সালটা বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো গেলে হয়তো বিশ্বকাপে তাঁর কাঁধেই থাকত নেতৃত্ব। সেটা এখন আর হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে সাবেক অধিনায়ক এবং জেষ্ঠ খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে দলীয় সিদ্ধান্তগুলোতে মুশফিকের চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটতেই পারে। কাল সংবাদ সম্মেলনেও সেসব চিন্তাভাবনার কিছু ভাগাভাগি করলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান—
Mushfiqur-Rahim-and-Mondi-at-their-wedding-reception-www.jatirkhantha.com.bd প্রতিটি সংবাদ সম্মেলনের মতো এই প্রসঙ্গটা উঠল কালও। মুশফিক বললেন, ‘প্রথম দশ ওভার অবশ্যই খুব চ্যালেঞ্জিং হবে। শুধু আমাদের জন্য না, সব দলের জন্যই। কম রান হলেও প্রথম দশ ওভারে আমাদের এমনভাবে খেলতে হবে যেন পরে উইকেট হাতে রেখে আক্রমণ করতে পারি।’
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উইকেটে বাউন্স থাকলেও তা অসম নয় বলে ওখানে রান করাটাকে তিনি খুব বেশি কঠিন মনে করেন না। বরং বল ব্যাটে ভালো আসে বলে সেট ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজই মনে করেন। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার গতিময় উইকেটে স্পিনারদের জন্যও প্রাণ দেখছেন মুশফিক। বাংলাদেশের যেহেতু স্পিনাররাই মূল শক্তি, আভাস দিলেন তাদের নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনারও, ‘আমাদের শক্তিটা যেহেতু স্পিনে, আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে। হয়তো স্পিনারদের দিয়ে বোলিং শুরু করানো হতে পারে।’
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে গুরুত্ব পাচ্ছে পরিস্থিতি অনুযায়ী অনুশীলন। কাল যেমন ম্যাচ পরিস্থিতিতে ব্যাটিং-বোলিং করানো হলো। মুশফিক যার বর্ণনা দিতে গিয়ে বললেন, ‘ধরুন, ৪ ওভারে ২০ রান করতে হবে…সে সময় কোনো উইকেট হারানো যাবে না। স্লগ ওভারে ৪ ওভারে ৪০ রান করতে হবে বা পাওয়ার প্লেতে ৫ ওভারে ৩০ রান করতে হবে। বেশির ভাগ সময় ব্যাটসম্যানরাই জিতেছে। বোলাররা প্রথম দিকে একটু কষ্ট করলেও পরবর্তীতে ভালো করেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার মাঠ অনেক বড়। সেটা মাথায় রেখে রানিং বিটুইন দ্য উইকেট আর ফিল্ডিং অনুশীলনেও দেওয়া হচ্ছে বিশেষ জোর। মুশফিকই বলছিলেন, ‘আজকে (গতকাল) বাউন্ডারি অনেক বড় দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৮৫-৯০ ফুট করে। তাতে অস্ট্রেলিয়ার মাঠের মতো একটা আমেজ পাওয়া গেছে।’
২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলেন মুশফিক, সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল। ২০১৫ বিশ্বকাপ হবে তাঁদের তৃতীয় বিশ্বকাপ। এই কয় বছরে অর্জিত অভিজ্ঞতার কারণেই এবার এই ত্রয়ীর কাছে দাবিটা বেশি। মুশফিকও মনে করেন, ‘এটা একটা বড় সুযোগ নিজেদের প্রমাণের। সেটার জন্য অনুশীলনসহ যা যা করা দরকার, সবই আমরা করছি। সব ঠিকঠাক থাকলে ও আল্লাহ সহায় থাকলে বিশ্বকাপে আমরা অবশ্যই ভালো করব।’
সেই ভালোর চৌহদ্দিটা নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন তাঁর চোখে, ‘এমনও হতে পারে বিশ্বকাপের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে বাংলাদেশের দু-তিনজন থাকতে পারে। এটা আমার বিশ্বাস। আমরা এভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখন শুধু ম্যাচে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না বলে ভেতরে ভেতরে হয়তো একটা আফসোস আছে। তবে সেটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে মুশফিক বিশ্বকাপে একজন খেলোয়াড় হিসেবেই সেরাটা দিতে চান। সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করতে চান অধিনায়ক মাশরাফিকেও, ‘সিনিয়র ক্রিকেটার যেমন, রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাই আমি ও আরও পাঁচ-ছয়জন আছে, নতুনদের তুলনায় যাদের দায়িত্বটা একটু বেশি।

চেষ্টা করব মাঠে এবং মাঠের বাইরে দলের জন্য আরও বেশি করে কাজ করতে। এটা বাংলাদেশ দল। একটা দেশের ভালো খেলার জন্য যা করা প্রয়োজন, তা-ই করা হবে।’