• রোববার , ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

আ’লীগ বিএনপির সাড়াশি আক্রমনে গ্যাড়াকলে জাসদ


প্রকাশিত: ১:৩৪ এএম, ২৬ আগস্ট ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৯ বার

71-jasod-বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা:  আ’লীগ বিএনপির সাড়াশি আক্রমনে গ্যাড়াকলে জাসদ ।সম্প্রতি আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কে নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জাসদ কোনো গণতান্ত্রিক দল নয় এবং জাসদ যেন বিএনপিকে গণতন্ত্রের ছবক না দেয়। আবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জাসদের লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকে অস্থিতিশীল করা।

তবে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু যতদিন বেঁচে ছিলেন সে সময়ে বঙ্গবন্ধুকে অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়েছে এবং সে কঠিন সময় পার করার মূInformation Minister Hasanul Haq Inu walks with US Ambassador Dan Mozena in the Secretariatল কারণই হচ্ছে জাসদ। কারণ, ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর জাসদ গঠিত হওয়ার পর যে কর্মকাণ্ড করেছে সেগুলো

বিশ্লেষণ করে বলা যায় তাদের কারণে বঙ্গবন্ধুকে অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় জাসদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক অনেক ঘনিষ্ঠ ছিল। তবে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জাসদের জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিদের একজন হচ্ছেন জিয়াউর রহমান।

মঙ্গলবার রাত আটটায় একাত্তর টেলিভিশনে অনুষ্ঠিত একাত্তর সংযোগ অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

শ্যামল দত্ত বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাসদের যে ভূমিকা ছিল তা অতুলনীয়। কারণ, তখন রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একমাত্র বিরোধী দল ছিল জাসদ। কিন্তু সেই জাসদ এবং বর্তমান সময়ের জাসদ এক নয়। বর্তমানে জাসদের ভেতরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জাসদের কার্যকরি সভাপতি মাঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাসদের যে ভূমিকা ছিল তা আমি ইতিহাসের ওপর ছেড়ে দিলাম এবং এ নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। তবে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জাসদ জড়িত ছিল না। সেইসঙ্গে ১৯৭২ সালে রাজনীতিতে জাসদ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কোনো বিরোধীতা করেনি।

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাসদের যে ভূমিকা ছিল সে সম্পর্কে জাসদই ভালো জানে। কিন্তু সব দলের কিছু না কিছু ভুল থাকে। সুতরাং, ভুল বুঝতে পারা এবং সে ভুল শুধরানোই হলো বড় কাজ।