• শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

আরাম আয়েসের চিকিৎসকরা-১০ লাখ মানুষের জন্য ১ জন ডাক্তার!


প্রকাশিত: ৪:১১ পিএম, ১১ মার্চ ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৪২ বার

মুরাদনগর প্রতিনিধি :  কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ১০ লাখ মানুষের hচিকিৎসার জন্য রয়েছে একজন চিকিৎসক। একজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে ৫০ শয্যার হাসপাতাল। ফলে মিলছে না প্রত্যাশিত সেবা। নানা সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতালটিতে আগত রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৩শ’ হতে ৩৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ সরবরাহ না থাকায় ঠিকমতো ওষুধও পাচ্ছে না রোগীরা। ডাক্তার, ওষুধ ও যন্ত্রপাতি সংকটে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে হাসপাতালটিতে।

আউটডোরে কোনো চিকিৎসক না থাকায় ওএসডি ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ রেখে সেখানকার ডাক্তারদের দিয়ে কোন রকম ভাবে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে সর্বত্র অরাজকতা শুরু হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে চেইন অব কমান্ড।

অসহায় অবস্থায় পড়ে চিকিৎসা বঞ্চিত রোগীরা বিভিন্ন হাতুড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছেন। হাসপাতালটিতে ডাক্তারদের ২১টি পদের মধ্যে ২০১৫ সাল থেকে যথাক্রমে শূন্য রয়েছে জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে ১০টি ডাক্তারের মধ্যে ৯টি।

এরমধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা: মো. মামুনুজ্জামান হাসপাতালে উপস্থিত না থেকেই বেতন নিচ্ছেন। ৪টি মেডিকেল অফিসার পদে ২টি শূন্য, এরমধ্যে ডা: উম্মে কুলসুম শিক্ষা ছুটিতে থাকায় পদটি শূন্য। ডা: পারমিতা ওয়াহিদা কানিজ মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় সেটিও শূন্য।

মেডিকেল অফিসার (আয়ুর্বেদীয়) শূন্য, ডেন্টাল সার্জন ডা: সৈয়দ আতিকুর রহমান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ডেপুটেশনে, সহকারি সার্জন (আইএমও) ডা: মো. আক্তার হোসেন অনুপস্থিত থেকে বেতন নিচ্ছেন, এনেথসিষ্ট ডা: আবদুল্লাহ আরাফাত ঢাকা মেডিকেল কলেজে ডেপুটেশনে।

রোগ নির্ণয়ের জন্য হাসপাতালটিতে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলেও ছোটখাটো রক্ত পরীক্ষার জন্য রোগীদের বাইরে যেতে হয়। যে কয়েকজন রোগি সেই ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরীক্ষা করেন তার টাকা চলে যায় প্যাথলজিষ্টের পকেটে। সামান্য পেট ব্যথা নিয়ে রোগী এলেও তাকে কুমিল্লায় রেফার করে দেয়া হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: আবু জাহের জানান, হাসপাতালের যে সকল সমস্যা রয়েছে সেইগুলো সমাধান করা হবে। ডাক্তার সংকটের পরও কীভাবে ডাক্তাররা এখান থেকে ডেপুটেশনে গেছেন তা আমার জানা নেই। প্রতি মাসেই আমরা ডাক্তার সংকটের বিষয়ে কতৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে।