‘আরামদায়ক রেলযাত্রার চমক আনা হচ্ছে’
স্টাফ রিপোর্টার : আরামদায়ক রেলযাত্রার চমক আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, আমাদের মূল টার্গেট রেলের যাত্রীর যাত্রা আরও স্বাস্থ্যবান করা। দেশের রেল ব্যবস্থায় চমক আনতে রেলপথকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনিবাসী (নন রেসিডেন্স বাংলাদেশি) প্রকৌশলীদের নিয়ে আয়োজিত ‘কোন’ সম্মেলনের প্রথম দিনে পরিবহন সেক্টরে আধুনিকায়ন নিয়ে একটি সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, এক সময় রেলে চমক থাকলেও মাঝে অনেকটা সময়ে চমক ছিলো না। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগাযোগ ও রেলকে আলাদা করেছেন। নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের রেললাইন সিঙ্গেল ছিলো, সেটাকে আমরা ডাবল করছি। এ কাজ ইতোমধ্যে কয়েক জায়গাতে শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে সড়ক ও রেল ব্যবস্থা বন্ধ ছিলো। বঙ্গবন্ধু মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে চমক তৈরি করেছিলেন। মাঝে অনেক বছর আবারও অবহেলিত ছিলো। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবারও ধীরে ধীরে রেলের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নাজুক রেল ব্যবস্থায় চমক আনতে অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলোর কাজ দৃশ্যমান। আশার কথা হলো, যাত্রীর যাত্রা আরামদায়ক, স্বাস্থ্যবান করতে কম সময়ে আগামীতে রেলে চমক আসছে।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন উদ্যোক্তা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক ব্যবস্থাপনাকে আরও যুগপযোগী করতে পরিকল্পনা দরকার। সড়ক দিয়ে অবৈধ ইঞ্জিন চলছে তাদের জরিমানা করার পর তারা আবার সড়কে আসছে। তারা মনে করছে জরিমানা দিয়ে হয়ত সে বৈধতা পেয়েছে। মানে আমাদের সচেতনার ঘাটতি অনেক, যার কারণে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাচ্ছে না। আসুন সবাই সচেতন হই, সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নেই।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার সড়ক ও রেলকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য এ দুটোকে আলাদা করা হয়েছে। সড়কের যানজট কমাতে নতুন সড়ক নির্মাণ, সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে সরকার একটা সুন্দর পরিবহন ব্যবস্থা করতে কাজ করছে, কিছু কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এখন সবার সহযোগিতা দরকার, বিনিয়োগ দরকার।সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্টের ইনচার্জ এআইজি মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক শামসুল হক, আমেরিকান প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল করিম, জিয়া ইসলাম প্রমুখ।