আমি যেন জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই-এসএসএফকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শফিক আজিজ .ঢাকা: আমি জনগণের জন্য রাজনীতি করি, কাজেই এসএসএফ নিরাপত্তা দিতে তাঁদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার এসএসএফ এর ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের প্রতি এ আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমি নিজের জন্য রাজনীতি করি না, জনগণের জন্য রাজনীতি করি। জনগণ আমাদের মূলশক্তি। এই জনগণ থেকে যেন আমি বিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই। দায়িত্ব পালনকালে এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে। আগের চেয়ে এখন আমাদের বাজেট ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিন বছর কয়েকমাস আমার হাতে আছে। এ সময়ের মধ্যে আমরা উন্নত রাষ্ট্রে উপনিত হতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছেছি। আমরা নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে থাকতে চাই না, মধ্যম আয়ে পৌঁছাতে চাই।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা রাজনীতি করি। জনগণ আমাদের মূলশক্তি। এই জনগণ থেকে যেনো বিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই। দায়িত্ব পালনকালে এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আমার বেঁচে থাকাটা নিরর্থক।
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে সহজেই দেশের উন্নতি করা হয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার সময় দেশে মন্দা ছিল। মন্দা থাকার কারণে অনেক উন্নত দেশ তাদের প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ সীমিত সম্পদ নিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে তা অর্জন করতে পেরেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি দারিদ্র্য মুক্ত হতে পারে না। এজন্য শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৫-১৬ নেমে আসুক। তাহলে বাংলাদেশকে দারিদ্র্য মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা দিতে পারব।
দরবারে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ, ৩ বাহিনী প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মোহাম্মদ আমান হাসান উপস্থিত ছিলেন।