আবারও বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেবে সৌদি অারব
বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে সৌদি আরব। দেশটির শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার বাংলাদেশস্থ রাস্ট্রদূত।
শুধু গৃহকর্মী ছাড়া অন্য সব ধরণের শ্রমিক নিয়োগের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা গত ৬ বছর ধরে কার্যকর ছিল। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় সৌদিতে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ আনন্দ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে সেখানে যেতে আগ্রহী সব কর্মীর জন্যই সুখবর।’
এই নতুন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ থেকে সব ধরণের দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক এবং ডাক্তার, নার্স, শিক্ষক, কৃষক ও নির্মাণকর্মীর মতো পেশাজীবীদেরও সৌদি আরবে কাজ করার পথ সুগম করে দেবে।
এজন্য রাষ্ট্রদূত সৌদির বাদশাহ এবং দুই পবিত্র মসজিদের অভিভাবক সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সৌদি সরকার ভালোমন্দ সবসময়ই বাংলাদেশের পাশে থেকেছে।
গত জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের দু’মাসের মাথায়ই এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো। ওই সফরে প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের কাজে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা আবার চালু করার আহ্বান জানিয়েছিলেন সৌদি বাদশাহকে।সফরে সৌদি বাদশাহর সঙ্গে বৈঠকে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে কথা হয়।
সৌদি আরব সফর ফলপ্রসূ হয়েছে বলে উল্লেখ করে ওই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক ছাড়াও অন্যান্য উচ্চ পদে দক্ষ, অর্ধদক্ষ ও পেশাজীবী লোক নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
সৌদি আরব সফরে ফরেন কনসালটেন্সির ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ৬০ হাজার নারী গৃহকর্মীসহ মোট ১৩ লাখের মতো বাংলাদেশী শ্রমিক কর্মরত আছে।
রাষ্ট্রদূত মসীহ জানান, গত জুন থেকে পুরুষ গৃহকর্মীদেরকেও ভিসা দেয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ৬ হাজার নারী কর্মী প্রতি মাসেই সৌদিতে কাজের জন্য আসে।