আন্দোলনের হুমকি চেরমোনাই পীরের
স্টাফ রিপোর্টার : ভোটে জামানত বাজেয়াপ্ত হওযায় এবার বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আন্দোলন করতে চায় চরমোনাই পীর।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছে চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দাবি আদায়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় দলটি। মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন দলটির আমির রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, দেশের সচেতন জনগণ, যারা দেশের পক্ষে, তাদের সঙ্গে ঐক্য হবে ইসলামী আন্দোলনের। দাবি অভিন্ন হলে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত তিনি।গত রোববারের ভোট প্রহসন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের মতামতের নূন্যতম প্রতিফলন ঘটেনি। তাই এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। দাবি মানা না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোট পেয়ে আলোচনায় আসা দলটি তিন দশক আগে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির সঙ্গে একটি স্বল্পমেয়াদি জোট করেছিল।ইসলামী আন্দোলনের দাবি, এবারের নির্বাচনে এতটাই কারচুপি হয়েছে যে, বরিশাল অঞ্চলের যেসব আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সেখানেও তাদের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এবার নির্বাচনে সর্বোচ্চ ২৯৮ আসনে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকার সমালোচনা করে রেজাউল করীম বলেন, ২৯৮ আসনে তাদের প্রার্থী ছিল। তাই নির্বাচনে অনিয়ম সম্পর্কে তারা সবচেয়ে বেশি অবগত। এ বিষয়ে বারবার নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। দলের নেতারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কমিশন।চরমোনাইর পীর অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করার পরও প্রশাসন ছিল নীরব।