আনুশকার ছোঁয়ায় আইপিএল মাত কোহলী’র
আসমা খন্দকার : আনুশকার ছোঁয়ায় আইপিএল মাত করছে কোহলী। বিরাট কোহলি ক্রমে নিজেকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন যে তাঁকে ‘রান মেশিন’ বলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এবারের আইপিএলে যা করছেন, তা তো সব মানবিক ব্যাপার-স্যাপারকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। এই প্রথমবারের মতো আইপিএলের এক আসরেই করলেন চার-চারটি সেঞ্চুরি। যে ক্রিস গেইলকে সবাই ‘ভয়ংকর’ হিসেবে জানে, তাঁরই তো আইপিএলের সব আসর মিলিয়ে পাঁচটি সেঞ্চুরি।
কোহলি এবারের আসরে সেঞ্চুরিকে যেভাবে ‘মুড়িমুড়কি’ বানিয়ে ফেলেছেন, তাতে সামনের দিনগুলোতে সেঞ্চুরি না পাওয়াটাকে হয়তো আইপিএলে ব্যর্থতার মানদণ্ড হিসেবে দেখা হবে। ওভার নির্দিষ্ট ক্রিকেটে এভাবেই প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন তিনি, গড়ে দিচ্ছেন ব্যাটসম্যানশিপের অবিশ্বাস্য মানদণ্ড।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে গত রাতে করা চতুর্থ আইপিএল সেঞ্চুরি দিয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে ৪ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন কোহলি। এই আইপিএলে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক যেন নেমেছেন বাজির লড়াইয়ে। কারও সঙ্গে যেন বাজি ধরেছেন, একের পর এক সেঞ্চুরি করবেন, আর প্রতিটি সেঞ্চুরিতেই বলের সংখ্যা কমতে থাকবে। রাজকোটে গুজরাট লায়নসের বিপক্ষে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরিটি ছিল ৬৩ বলে, পুনে সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি ৫৬ বলে, গুজরাটের বিপক্ষেই তৃতীয় সেঞ্চুরিটি করলেন ৫৩ বলে।
গতকাল পাঞ্জাবের বিপক্ষে চতুর্থ সেঞ্চুরিটি তিনি করে ফেললেন ৪৭ বলে। কোহলির ব্যাটিং পরিসংখ্যানে একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে তাঁর মোট রান ৮৬৫।
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে কালকের ১১৩। গড় ৮৬.৫০। স্ট্রাইকরেট ১৫৫.০১। ৭২টি চারের সঙ্গে ছক্কা ৩৬ টি। ৪ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ফিফটি করেছেন ৫ টি। কে এই রেকর্ডে আঁচড় বসাবেন?
হাতে সাতটি সেলাই নিয়ে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন কোহলি। হাতের এমন জায়গায় সেলাইগুলো পড়েছিল যে ব্যাটিং করা ছিল কষ্টকর। কিন্তু কোহলির গোটা ইনিংসটি সেই সেলাইয়ের কথা মনেই হয়নি!
এমন শরীরী ভাষা, আহত অবস্থায় নিজেকে এমনভাবে প্রয়োগ করা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। এই অবিশ্বাস্য কাজটাই দিনের পর দিন করে চলেছেন ২৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।কোথায় থামবেন কোহলি?