আত্মহত্যায় প্ররোচনা সিফাতের স্বামীর ১০ বছর জেল
কোর্ট রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাতকে হত্যার অভিযোগ আদালতে প্রমাণ হয়নি। তবে তার আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে স্বামী মো. আসিফকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়া সিফাতের মৃত্যুতে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় আদালত তার শ্বশুর শ্বশুর হোসেন মোহাম্মদ রমজান, শাশুড়ি নাজমুন নাহার নজলী ও প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক জোবাইদুর রহমানকে খালাস দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এই রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই মামলার রায় ঘোষণা দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান এলাকায় আইনজীবী হোসেন মোহাম্মদ রমজানের বাড়িতে মৃত্যু হয় গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাতের। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্দশ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় মহানগরীর রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার।
গত বছরের ১২ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এ মামলাটি রাজশাহী থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়। এর আগে গত বছরের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী সুপার আহমেদ আলী চারজনের বিরুদ্ধে রাজশাহী মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দেন।