• বুধবার , ৮ মে ২০২৪

আত্মঘাতী কেউঠে সন্ত্রাসী মোস্তাফিকে আমলে না নেয়ার খেসারত দিল প্যারিস


প্রকাশিত: ১:৪৫ পিএম, ১৫ নভেম্বর ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৫ বার

PAY-MAIN-Mizanur-Rahman-Parisএএফপি অবলম্বনে এস রহমান:  মোস্তাফিকে আমলে না নেওয়ার খেসারত দিল প্যারিস। আই এসের আত্মঘাতী স্কোয়াড  ছিলেন ওমর ইসমাইল মোস্তাফি।বয়সে তরুণ এই সন্ত্রাসী আত্মঘাতী বোমায় নিজেসহ ৮৯ জনকে হত্যা করেছে প্যারিসের বাটাক্লঁ হলে।
বাটাক্লঁ হলের কিছু পাথরের ওপরে তাঁর হাতের চিহ্ন  বিশ্লেষন করে পুলিশ ও গোয়েন্দারা তাকে সনাক্ত করেছে।

গ্রেফতার করেছে ভাই ও বাবাকে। মোস্তাফির ভাই জানায়, গত কয়েক বছর আগে তিনি মোস্তাফির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। তিনি জানতেন মোস্তাফি ছোটখাটো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু কখনো চিন্তাও করেননি মোস্তাফি উগ্রবাদী হতে পারে।

সন্ত্রাসী  ওমর ইসমাইল মোস্তাফি। প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় ১২৯ জন নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত পুলিশের কাছে এমন পরিচয়ই ছিল তাঁর। কিন্তু গতকালের ওই হামলায় সেই মোস্তাফিকেই প্রথম বন্দুকধারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, বাটাক্লঁ হলের কিছু পাথরের ওপরে তাঁর হাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ২৯ বছর বয়সী মোস্তাফি ছাড়াও আরও দুজন ওই হলটিতে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। নিজেদের আত্মাঘাতী বোমায় উড়িয়ে দেওয়ার আগে ওই তিনজন ৮৯ জনকে হত্যা করেছে।

প্যারিসের করকরোননেসের দরিদ্র শহরতলিতে ১৯৮৫ সালের ২১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন মোস্তাফি। তাঁর অপরাধ রেকর্ড থেকে জানা যায়, ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ছোটখাটো আটটি অপরাধের জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু কোনোবারই তাঁকে জেল খাটতে হয়নি।

প্যারিস প্রসিকিউটর ফ্রাঁসোয়া মলিনস বলেন, ২০১০ সালে মোস্তাফিকে মৌলবাদের উচ্চ অগ্রাধিকার লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবারের আগে তাঁকে কোনো তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়নি। এ ছাড়া তাঁর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসূত্রও খতিয়ে দেখা হয়নি।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মোস্তাফি গত বছর সিরিয়ায় গিয়েছিলেন। তদন্তকারীরা সেটি খতিয়ে দেখছে।ঘটনার পর পুলিশ মোস্তাফির বাবা ও তাঁর ৩৪ বছর বয়সী ভাইকে আটক করেছে। এ ছাড়া তাঁদের বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়েছে।কারাগারে নেওয়ার আগে তাঁর ভাই কম্পিত কণ্ঠে বলেন, ‘এটা উন্মাদ, পাগলের কাজ। গতকাল আমি প্যারিসে ছিলাম। আমি দেখেছি জঘন্য ওই কাজ কীভাবে ঘটেছে।’

মোস্তাফি এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এমনটা জানার পর তাঁর এই ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। গত কয়েক বছর আগে তিনি মোস্তাফির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। তিনি জানতেন মোস্তাফি ছোটখাটো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু কখনো চিন্তাও করেননি মোস্তাফি উগ্রবাদী হতে পারে।