আজ বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার দিন সাব্বিরদের
স্পোর্টস রিপোর্টার : আজ বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার দিন সাব্বিরদের। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে আলোর অভাবে খেলা বন্ধ হলেও আলোকিতই রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা কখনই একপেশে ছিল না, যদিও চট্টগ্রাম টেস্টে সব হিসাব পাল্টে দিয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন শেষে দুই দল যে সমানে সমান! বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনাও তো শেষ হয়ে যায়নি।
ওয়ানডে সিরিজে লড়াই হবে, এমন প্রত্যাশাকে অস্বীকার করেনি ইংলিশ মিডিয়া। বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকায় ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডকে ছেড়ে কথা বলবে না বাংলাদেশ-বলা হলেও টেস্টে কোনও লড়াই হবে না, এমনই ছিল তাদের ভবিষ্যদ্বাণী। আজ চতুর্থ দিনের শেষে কথাটি তারা তুলে নেবে কি? ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে বাংলাদেশ। কারণ নিজের রেকর্ড গড়া টেস্টে ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি অধিনায়ক। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আটটি টেস্টে, দেশে বা ইংল্যান্ডে কখনই জেতার মতো অবস্থানে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে তো সেই দশা নেই বাংলাদেশের। জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩৩ রান, হাতে দুই উইকেট। কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।
জয়ের জন্য কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া লাগে, যেটি চতুর্থ দিনে পায়নি বাংলাদেশ। জয়ের কান্ডারি হতে পারতেন মুশফিক কিংবা সাকিব। দুজন যদি আরও কিছুক্ষণ টিকে থাকতেন, তাহলে নিঃসন্দেহে চিত্রটা ভিন্ন্ হতো। দিনের সেরা বলে বিদায় নিয়েছেন সাকিব। মঈন আলির বলটা অফস্টাম্পে পড়ে বাঁক খেয়ে সাকিবের ব্যাটে চুমু খেয়ে ঠাঁই নেয় বেয়ারস্টোর গ্ল্যাভসে। বাকি সময়ে এ লেংথ আর লাইনের বল আর একটিও করতে পারেননি মঈন।
মুশফিকের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। গ্যারেথ ব্যাটির বলটা বাউন্স খেয়ে উঠে গেল অপ্রত্যাশিত উচ্চতায়, স্পিনারের বল এত বাউন্স পেলে ব্যাটসম্যানের ব্যাট সরিযে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা। মুশফিক ব্যাট সরালেও গ্ল্যাভসে লেগে বল শর্ট স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে, বাংলাদেশের অবস্থানটা হলো একটু নড়বড়ে।
তবে প্রতিরোধ গড়েছেন সাব্বির। অভিষেক টেস্টে হাফসেঞ্চুরি করে তিনি এখনও জ্বালিয়ে রেখেছেন আশার মশাল। অভিষিক্ত তিন খেলোয়াড় নিয়ে টেস্ট খেলতে নেমে উড়ে তো যায়নি বাংলাদেশ, বরং চাপেই রেখেছে ইংল্যান্ডকে।
ক্রিকইনফোর সরাসরি ধারাভাষ্যে শ্রীনিকেত নামে এক ক্রিকেটপ্রেমি লিখেছেন, ‘ আইসিসির যদি হৃদয় জয় করার কোনও র্যাংকিং থাকতো, তাহলে বাংলাদেশ থাকতো শীর্ষে।’