• রোববার , ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

আগামী সপ্তাহে সাক্ষাৎ ফেডারেল রিজার্ভের প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের


প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ৪ মে ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯২ বার

বিশেষ প্রতিবেদক   :  রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব 1নিউইয়র্কের প্রধান ও আর্থিক বার্তা সেবা দেওয়া আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফট প্রতিনিধির সঙ্গে আগামী সপ্তাহে সাক্ষাৎ করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল অনলাইনে বুধবারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফটেরও দায় রয়েছে। এ বিষয়ে ১০ মের মধ্যে সুইজারল্যান্ডের ব্যাসেলে তাঁরা সাক্ষাৎ করবেন। তবে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয় যে সুইফটের কে প্রতিনিধিত্ব করেবন।তবে এ বিষয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফট কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের মোট ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা ৮০৮ কোটি টাকা চুরি করতে সক্ষম হয় হ্যাকাররা। এর মধ্যে আট কোটি ১০ লাখ ডলার বা ৬৪৮ কোটি টাকা প্রবেশ করে ফিলিপাইনে। আর বাকি দুই কোটি ডলার বা ১৬০ কোটি টাকা যায় শ্রীলঙ্কায়।

১০০ কোটি ডলার চুরির লক্ষ্য থাকলেও বানান ভুলের কারণে বাকি অর্থ লোপাট করতে পারেনি হ্যাকাররা। অর্থ চুরির জন্য হ্যাকাররা ৩৫টি আদেশ দেয়। তার মধ্যে ৩০টিই ব্লক হয়ে যায়। মাত্র চারটি আদেশ কার্যকর হলে লোপাট ৮০৮ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ডেইলি মেইল অনলাইনকে বলেন, ‘রিজার্ভ চুরির দায় নিউইয়র্ক ফেডকে নিতে হবে। যদি ৩০টি লেনদেন আটকানো যায়, তাহলে বাকিগুলো বন্ধ করা গেলে কেন?’রিজার্ভ চুরিতে সুইফটেরও দায় রয়েছে বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘একটি গোপনীয় ব্যবস্থা। কিন্তু তারা জানিয়েছে আগেও তাদের সফটওয়্যারে আক্রমণ হয়েছিল।’

গত সপ্তাহে সুইফট কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বৈশ্বিক বার্তা সেবার প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারের মাধ্যমে সম্প্রতি দুর্বৃত্তরা প্রায় ১১ হাজার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অপরাধকর্ম সংঘটিত করার চেষ্টা করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আইনজীবী আজমালুল হোসেনও সুইজারল্যান্ডের ব্যাসেলের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। তিনি এখন দেশের বাইরে বলে জানা গেছে।ব্যাসেলে আন্তর্জাতিক সালিশি ব্যাংক বিআইএসের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।