আওয়ামী লীগের পয়জন হাসান হাজার কোটি লুটে লুঙ্গি পড়ে পালাচ্ছিল
লাবণ্য চৌধুরী : আওয়ামী লীগের সবচেয়ে সুবিধাভোগী মন্ত্রীদের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান মাহমুদ হাজার কোটি টাকা লুটে লুঙ্গি পড়ে পালাচ্ছিলেন। কিন্তু পারেননি গ্রেফতার হয়ে বিশেষ সংস্থার কব্জায় আছেন। এই সেই হাসান যে কিনা বঙ্গবন্ধুকে বিক্রি করেও শত কোটি টাকা বাণিজ্য করেছেন। আওয়ামী লীগের এই পয়জনের কারণে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ম্যুরাল ভাংচুর হচ্ছে সারা দেশে। তথ্য মন্ত্রী থাকাকালে হাসান মাহমুদ শেখ হাসিনার সরকারের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিসাধন করেন বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত উদ্ভট প্রচার প্রচারণা করে।
এসব কান্ডে হাসান মাহমুদ বিটিভি থেকেই হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। বিষয়টি ছিল গায়ে মান না আপনি মোড়লের মতো। আজকে সরকার পতনে সারা দেশব্যাপি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরের নেপথ্যে হাসান মাহমুদের উদ্ভট চিন্তার ফসল। হাসিনা সরকারের পতনের নেপথ্যে এই বিষফোড়া হাসান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর পয়জন ছিলেন বলে পোড়খাওয়া আওয়ামী লীগাররা দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানিয়েছেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে কয়েশ কোটি টাকার তিনটি পনের তলা বিল্ডিং করেছেন হাসান মাহমুদ। তার রয়েছে টিভি চ্যানেলও; যেটি দেখাশোনা করেন তার স্ত্রী। প্রখ্যাত জমির দালাল রফিকের মাধ্যমে ৩০০ ফিট এলাকায় মন্ত্রীর পুলিশ প্রটেকশনের গাড়ির দাপট দেখিয়ে বিশাল সম্পতি দখল করেছেন সম্প্রতি। যেটিতে বর্তমানে হাসান মাহমুদের শিপিং ব্যবসার সাইনবোর্ড লাগানো আছে।
এই সেই হাসান যে কিনা নিজের স্বার্থের জন্য দলকে ব্যবহার করেও কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য, দলীয় পদ বাণিজ্য করেছেন আর সময় সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করে ”নিজেকে করিৎকর্মা” দেখিয়ে যুগ্ম সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিয়ে ঐতিহ্যবাহি আওয়ামী লীগের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। এই সেই মহা দুর্নীতিবাজ হাসান যিনি এফডিসির পাশে কিনেছেন শত কোটি টাকা মূল্যের বানিজ্যিক প্লট।
আরব আমিরাত দূবাইয়ের আজমান এলাকায় পুরো ল্যান্ড কিনে করেছেন বেশ কয়েকটি বাড়ি। দেশ থেকে হাজার কোটি টাকা পাচার করেন এসব সম্পত্তি করেন হাসান। তথ্য মন্ত্রী থাকাকালে বিটিভির বিভিন্ন টেন্ডার ও উন্নয়ন কাজের শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। বন ও পরিবেশ মন্ত্রী থাকাকালে নিয়োগ বদলি ও বন উজাড় করে হাতিয়েছেন কয়েক’শ কোটি টাকা। নিজের ভাইয়ের নামে একটি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক শেয়ার কেনেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখলেও পিছিয়ে নেই তিনি।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হিন্দু বৌদ্ধদের কয়েক একর সম্পত্তি দখল করে নেন হাসান মাহমুদ ও তার ভাই। তথ্যমন্ত্রী থাকাকালে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হন। বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম সাজেদা চৌধুরী হাসান মাহমুদের বিতর্কিত মন্তব্যে তাকে ”বেয়াদপ” বলেও আখ্যায়িত করেছিলেন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী এক সভায়।
তথ্য মন্ত্রী থাকাকালে এই সেই হাসান মাহমুদ সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে বিশেষ করে ”ক্রোড়পত্র” থেকে কোটি কোটি টাকা কমিশন বাণিজ্য করেছেন। তার ব্যক্তিগত সহকারী, ডিএফপির কতিপয় ব্যক্তি ও দালালদের মাধ্যমে শত কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করেছেন। এমনকি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাণিজ্যের সঙ্গেও এই হাসান মাহমুদ জড়িত রয়েছেন বলে তথ্য প্রমাণ উদঘাটিত হয়েছে।